Friday, October 28, 2016

চাঁদ

চাঁদটা আজ বিদঘুটে আচরন করছে,
মনে করিয়ে দিচ্ছে তোমায়।
পিচঢালা পথটাকে ঘৃনা করতে ইচ্ছে হচ্ছে,
তোমার সাথে সেখানেই তো দেখা হয়েছিলো।
আজ যদি আমায় জিজ্ঞাসা কর,
তোমায় ঘৃনা করি কী না!
আমি শুধু এটাই বলব, তোমায় ক্ষমা করেছি
বহুদিন আগেই।
তবে, আজ যদি তোমার গায়ে আগুন লাগে
আর আমার হাতে থাকে এক বালতি জল।
আমি নির্দ্বিধায় স্নান করবো
তোমার পুড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে।
এটা প্রতিশোধকামিতা নয়,
আমার জীবনে তোমার মূল্যহীনতা।

তুমি

কী চাই আর তোমার
যখন প্রাণটাই তোমায় দিয়েছি।
কী আর বাকি আছে দেবার
যখন সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছি
শুধু রয়েছে বাকি নিরবতা।
বালিকা,
মাঝে মাঝে বিদ্রোহ করতে চাই।
পথ হারাবে এ ভয়েই পিছিয়ে যাই
এ দুর্বলতাকে নিজের মত করে
ভেবে নিয়েছ অযোগ্যতা।
এক সীমারেখার মাঝেই সব করে বিচরন
এক মাত্রাতেই থামে সব জোর আলোড়ন,
বালিকা, জানো তো
এর মাঝে থাকার মাঝেই নিহিত সম্পর্কের সফলতা!

বুদ্ধ

বোধিবৃক্ষের তলায় বসিনি
তাই, বুদ্ধও হয়ে ওঠা হয়নি।
ইটকাঠের খাঁচায় বন্দী থেকে
বোধহীন দোপেয়ে পশুতে পরিনত হচ্ছি,
হয়ত।
নতুবা রাতের আকাশটাকে
এত ভয়ংকর লাগবে ক্যানো?

হারিয়ে যাওয়া

দীর্ঘপথ অতিক্রম করে যখন ভেবেছি পথ শেষ,
তখন অবাক হয়ে দেখলাম আছি সমুদ্রের কিনারায়
পথ ভুলে হারিয়ে গিয়েছি কোন এক অজানায়।
সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে দেখছি সুর্যের অস্ত যাওয়া
আর জমিয়ে রাখছি শেষ দীর্ঘশ্বাস।
অন্ধকার নেমে এলে আমিও হারিয়ে যাব শেষবারের মত,
উন্মত্ত ফেনিল রাশিমালায়।