তীব্র ঘৃণায় কুঁচকে যায় মুখ,
প্রতিবিম্বে নিজের চেহারা দেখে ক্রোধে ফেটে পড়ে মস্তিষ্ক।
প্রতিটা সিদ্ধান্তে ভুল করতে করতে নিজেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটির
বেঁচে থাকা পাপ।
শুধুমাত্র আত্মহত্যা পাপ বলে
টেনে- হেঁচড়ে জীবন বয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ!
তীব্র ঘৃণায় কুঁচকে যায় মুখ,
প্রতিবিম্বে নিজের চেহারা দেখে ক্রোধে ফেটে পড়ে মস্তিষ্ক।
প্রতিটা সিদ্ধান্তে ভুল করতে করতে নিজেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটির
বেঁচে থাকা পাপ।
শুধুমাত্র আত্মহত্যা পাপ বলে
টেনে- হেঁচড়ে জীবন বয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ!
রুপসায় তখন ভীষণ স্রোত,
কবুতরের ঝাঁক ডানা মেলে উড়ে যায়-
নিজ নিজ গন্তব্যে।
ট্রলারের এন্জিননির্গত বিকট শব্দ
ভেঙে দেয় বছর ষাটেকের তরুণ অশ্বত্থের ধ্যান।
লালচে গোলকটা ডুব দেয় পশ্চিমাকাশে, আর,
মসজিদের মাইকে সুরে বেসুরে ধ্বনিত হয় প্রভুর মাহাত্ম্য।
আমরাও ঘরে ফিরি,
মস্তিষ্কের নিউরণ রুপসার বুকে
অগনিত অস্বস্তির স্রোত নিয়ে।
যেখানে শুশুকেরা আর ঝাঁপায়না।
খুলনা
ফাগুনের সাতাশ, চৌদ্দশ একত্রিশে
ঈশ্বরের বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম,
প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হতে হতে।
অবশেষে একদিন দাঁড়ালাম বিদ্রোহীন্যায়,
জিজ্ঞাসু চোখে তাকালাম,
'তুমি এলেনা কেন?'
ঈশ্বর বললেন, ও দুটো হাতের কাজ কী তবে!
২৪ ফাগুন, ১৪৩১
খুলনা
চৈত্রের এই প্রায় শেষদিকের সকালবেলায় শহরের পাখিরাও যখন আড়মোড়ায় ব্যস্ত তখন বেরোতে হয় কর্মস্থলের দিকে। সূর্যের তেজ একটু একটু করে বাড়ছে প্রতিদিন। দক্ষিনের বঙ্গোপসাগর থেকে যে বাতাসটা এসে পৌছয় খুলনা শহরে তার অনুগুলোও বোধকরি রোদের তাপে উষ্ণ হয়েই আসে। রাস্তার কাজ চলছে প্রায় বছরখানেক ধরে। আজ নর্দমার কাজ শেষ হয় তো কাল রাস্তার পিচ খুঁড়ে পাশে চলে যায়।
ছোট একটা বাইকে চড়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে যাই। বাসা্র গলি থেকে বেরিয়ে যে প্রধান সড়ক তার ওপারে রায়েরমহল। একসময় গ্রাম ছিল, এখন পুরো শহর। মিনিটখানেক গেলেই একটা মসজিদ পেরিয়েই পড়ে একটা গীর্জা। আমাদের অসভ্য বন্য বর্বর পুর্বপুরুষেরা যে উপাসনালয়ের সাথে পাঠশালার ধারা তৈরী করে গিয়েছিলো তা আমরা উত্তরসুরীরা ব্রান্ড আলাদা করে হলেও বজায় রেখেছি। খুব ধীরে গীর্জাটা পার হই। বেথেলহামের যীশু বাংলার এই প্রান্তে এসেও যে বিমূর্ত তা ছোট ছোট শিশুদের গলায় প্রার্থনা সঙ্গীত যতটুকু শুনতে পাই তাতে অনুভব করি।
সকালে মানুষের চেয়ে সারমেয়দের সাথে দেখা হয় বেশি। রায়েরমহল জামে মসজিদের পাশে যে বৈকালিক অস্থায়ী বাজারটা বসে সেখানে একটা নতুন সারমেয় অতিথি এসেছে। বয়েস মাস দেড়েক হবে হয়তো। যতবারই দেখেছি খেলায় ব্যস্ত। আর কেউ পাশ দিয়ে গেলে একটা আদুরে চাহুনী দিয়ে মৌন বাক্যালাপ। ব্যস্ততা থাকায় সাহেবটার সাথে আলাপ হয়নি।