Thursday, October 31, 2013

তোমার চুলের ক্লিপ

চারপাশে কোলাহল,
ব্যাস্ত রাস্তা, ব্যাস্ত সবাই, চলে যাচ্ছে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে।
আমি একা দাঁড়িয়ে এক চায়ের দোকানে,
আলসে আমায় দেখে বিরক্ত দোকানীর তাড়ার ছল।
আমার মত আরেকজন আছে রাস্তার ওপারে...
সে তুমি।
বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে আছ গাছের সবুজের দিকে।
আর আমি অপলকে তাকিয়ে আছি তোমার দিকে।
হঠাত ছন্দপতন...
এক ভিক্ষুকের আগমন।
দায়সারা ভাবে পকেটে থাকা ছেঁড়া দুই টাকার নোট
যেন আকুলি বিকুলি করছিল মুক্তির আশায়।
তাকে মুক্তি দিয়েই দিলাম তোমাকে দেখার জন্যে।
কিন্তু একি!
কোথায় হারালে তুমি?
স্তত পার হয়ে চলে গেলাম রাস্তার ওপারে,
খুজলাম তোমায় হয়ে হন্যে।
চোখে পড়ল তোমার চুলের ক্লিপ গড়াচ্ছে ধুলায়।
তুলে নিলাম তা...
পরবর্তীতে দেখা হলে কথা বলার সুযোগ হবে সেই আশায়।

Monday, October 28, 2013

এলোমেলো ভাবনা



মেয়ে, আমায় তো করেছ পাগল তোমার ওই হাসিতে।
বাধ্য করেছ আমায়, তোমার মাঝে যেতে হারিয়ে।
আর হেসোনা আমার সামনে, ও মানসী,
ওই হাসি যে আমার হৃদয় কে ছেদ করে যায়।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থমকে যায় আমার সময়।
যদিও সময় আর নদি বহমান।
তোমার মাঝে আছে কি যাদু?- সত্যি করে বল।
কেন তোমার মাঝে আমার দিন চলে যায়।

হয়তো এই ভাবনা শুরু হয়েছে আরও আগেই,
যখন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এই ধরনীতে আসার জন্য।
যদি তা না হয়, তবে বল কেন এই ভাবনা
উকি দেবে এ মনের মাঝে হঠাৎ করে?
অপেক্ষা শুধু তোমার একটি জবাবের।
এরপর আরম্ভ হবে সুখের নীড় গড়া, শুধু তোমার আমার।
দুজনার প্রেমের সৃষ্টি যেমন অনেক আগেই
তেমনি থাকবে বহমান ভালবাসা মৃত্যুর পরে।


Saturday, October 26, 2013

উত্তর

হারানোর আর ভয় কি?
হারিয়েছিই তো সবচেয়ে দামী মানুষটাকে।
যে কখনও ছিলনা আমার।
‘তবে কেন এতো দুঃখ এ হৃদয়ে?’
জিজ্ঞাসে জনে জনে।

‘আশিকের হৃদয় চৌচির
তখনই হয় যখন ছাড়তে হয় ভালবাসাকে।
যাকে হয়নি কখনও বলা।
হয়নি কখনও ধরা জড়ায়ে’।
হেসে বলি সন্তর্পণে।


প্রশ্ন

শেষ পর্যন্ত আমায় এভাবেই ডোবালে?

কি ভাব তুমি,
তোমায় ছাড়া আর কেউ নেই পুরো দেশে আমার জন্য?
তুমি দেবী নও...
তোমার মাঝে দেবীত্বের কোন গুন নেই, 
শুধু ওই সুন্দর মুখশ্রী ছাড়া।

তোমায় যদি ভালবেসেই ফেলি তা আমার মহত্ত্ব।
তাতে তোমার নেই হাত কোন। 
তবে দায় তো এড়াতে পারনা এর...
তোমার কিছু কিছু আচরনে ভালবেসেছিলেম তোমায়।
যখন জানলে তখন কি সুন্দর বুঝিয়ে দিলে 
সব ছিল বন্ধুত্ব!!!

আসলেই নারী এক আজব জাত...
বুঝতে পারিনি আগে।
আর যখন বুঝতে পারলাম 
তখন আমি সব হারানো এক বিশ্বাসঘাতক।
নিজের কাছে নয়।
তোমার কাছে, কেন তাই আমার জিজ্ঞাসা।

Friday, October 25, 2013

ভালবাসি তারে

আমার ভালবাসা

ভালবাসা
চার অক্ষরের একটা শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তি,
মনে হয় বোধশক্তি দ্বারা পরিমাপের বাইরে।
ভালবাসা,
শব্দটা বলতে সেকেন্ডের কম সময় লাগলেও
এর মায়া মেখে থাকে সারা জীবনের সফরে।

পৃথিবীতে হয়তো পাওয়া যাবেনা
 কাউকে এমন, যে পায়নি কষ্ট ভালবাসি।
কারো ভালবাসা অর্থ, কারো ঈশ্বর,
কারোবা প্রকৃতি, কারো মৃত্তিকায় গড়া মানসী।

আমি শেষোক্ত দলে-
ভালবেসে ফেলেছি এক মানবীকে।
যাকে আমি দেখি সরস্বতি রুপে,
মায়াবী মুখশ্রী, চতুর্ভুজার ন্যায় সর্বকর্মপটিয়সি মানবী।
রহস্যময়ী, যার চোখের জলে রহস্যের আভা পেয়েছি,
মজে আছি সমাধানের নেশায় সেই রহস্যের।
যার গোলাপ রাঙ্গা চিকন ঠোঁটের হাসিতে
আমি মরি, আমি বাঁচি, আমি ভাসি, আমি ডুবি। 


Friday, October 4, 2013

বন্ধু পুরান

কবি শাকিল, সাইফ, রাব্বি, শিশির, পারভেজ, আলামীন, চয়ন, নয়ন আর আমি মিলে একটা গ্রুপ ছিল। একাডেমিক কারনে নয়। শুধু বন্ধুত্ব আর দুশটামীর খাতিরে। জে এল এফ। এই গ্রুপের সদস্য গন একটা সিক্রেট মেনে চলত। আজও যা সিক্রেট। অনেক মজা করেছি এই গ্রুপের সবাই। আমার ছ্যাকা খাওয়ার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা ছ্যাকা দিবস আয়োজন করেছিলাম। কি মজাই না হয়েছিল সেদিন।

 
ছ্যাকা দিবসের কতিপয় ছ্যাকা খাওয়া পাবলিক। (আজম, শাওন, চয়ন, আলামীন, আর বসে আছে রাব্বি)
ইফতার পার্টি করেছিলাম ২০১১, ২০১২ টানা দুই বছর। প্রথমবার পুরনো বিজনেস স্টাডিজ ভবনের ছাদে। আর প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় দল বেধে ঘুরতে যাওয়া তো আমাদের একটা অঘোষিত নিয়মে দাড়িয়েছে।

পহেলা বৈশাখে আমরা ক’জনা।
ফরহাদ, মিতুল, শাকিল (সেক এ), মনির, সুমনদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মিরপুর ছেড়ে যাত্রাবাড়ী আসার পর থেকে। ফরহাদ আর আমি তো একই বাসায় থাকি। এই ট্যুর পাগলা গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার পর দুই জায়গায় চরম দুই ট্যুর মেরেছি... প্রথমবার নেত্রকোনার বিরিশিরি, পরেরবার সিলেট-আওলিয়ার দেশে। এরা তো মনের একটা ফ্ল্যাটে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। বলতে গেলে বেঁচে আছি এদের জন্যই। আবার কিছু কষ্টের স্মৃতিও আছে এদের নিয়ে। বিরিশিরি ট্যুরে গিয়ে বোধ হয় আমাদের মধ্যকার বন্ধন গাঁঢ় করার জন্য সিমেন্ট দেয়া হয়েছিল। আর সিলেট ট্যুরে গিয়ে সেই বন্ধন আরও শক্ত হয়েছিল।
বিরিশিরি ট্যুরের লাইন আপঃ রবিন আর রবিনের মামা (ক্যাম্পাসের বাইরের বন্ধু), সাইফ, শাকিল, ফাতিন, রাজিব (একাউন্টিং), মিতুল, শাকিল (কবি), মনির, আলাউদ্দীন, ফরহাদ, আমি আর ড্রাইভার। ছবিটা তুলেছিল রাব্বি খান। তাই সে ফ্রেমের বাইরে।

সিলেট ট্যুরের লাইন আপঃ দাড়িয়ে- ফরহাদ, রুমেল(আমার রুমমেট), সুমন,  শাকিল(কবি), মনির, আমি, শাকিল। বসে- আকাশ (সুমনের ভাই), অনি, অনিক, নুরু। ছবি তুলেছিল মিতুল।

সিলেটে অনেক ঘুরেছিলাম আমরা। এই ছবিটা লাউয়াছড়ার। রাতারগুলের মধ্যে সবাই আলাদা আলাদা নৌকায় ছিলাম তাই গ্রুপ ছবি এলনা। দোস্তরা মাইন্ড খাইসনা।

Thursday, October 3, 2013

নারীর মন

নারীর মন

বুঝিনা নারীর মন,
বলে বন্ধু ভাবিনা তোমায়...
তবু আড় চোখে তাকায় যখন তখন।
তাকানোতে দোষ নেই কিছু,
তবু কেন ঘৃণা আমায়...?

যখন হেটে চল আমার পিছু পিছু।