কবি শাকিল, সাইফ, রাব্বি, শিশির, পারভেজ,
আলামীন, চয়ন, নয়ন আর আমি মিলে একটা গ্রুপ ছিল। একাডেমিক কারনে নয়। শুধু বন্ধুত্ব
আর দুশটামীর খাতিরে। জে এল এফ। এই গ্রুপের সদস্য গন একটা সিক্রেট মেনে চলত। আজও যা
সিক্রেট। অনেক মজা করেছি এই গ্রুপের সবাই। আমার ছ্যাকা খাওয়ার বছর পূর্তি উপলক্ষে
একটা ছ্যাকা দিবস আয়োজন করেছিলাম। কি মজাই না হয়েছিল সেদিন।
ছ্যাকা দিবসের কতিপয় ছ্যাকা খাওয়া পাবলিক।
(আজম, শাওন, চয়ন, আলামীন, আর বসে আছে রাব্বি)
ইফতার পার্টি করেছিলাম ২০১১, ২০১২ টানা দুই
বছর। প্রথমবার পুরনো বিজনেস স্টাডিজ ভবনের ছাদে। আর প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে টিএসসি
এলাকায় দল বেধে ঘুরতে যাওয়া তো আমাদের একটা অঘোষিত নিয়মে দাড়িয়েছে।
পহেলা বৈশাখে আমরা ক’জনা।
ফরহাদ, মিতুল, শাকিল (সেক এ), মনির, সুমনদের
সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মিরপুর ছেড়ে যাত্রাবাড়ী আসার পর থেকে। ফরহাদ আর আমি তো
একই বাসায় থাকি। এই ট্যুর পাগলা গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার পর দুই জায়গায় চরম দুই
ট্যুর মেরেছি... প্রথমবার নেত্রকোনার বিরিশিরি, পরেরবার সিলেট-আওলিয়ার দেশে। এরা
তো মনের একটা ফ্ল্যাটে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। বলতে গেলে বেঁচে আছি এদের
জন্যই। আবার কিছু কষ্টের স্মৃতিও আছে এদের নিয়ে। বিরিশিরি ট্যুরে গিয়ে বোধ হয়
আমাদের মধ্যকার বন্ধন গাঁঢ় করার জন্য সিমেন্ট দেয়া হয়েছিল। আর সিলেট ট্যুরে গিয়ে
সেই বন্ধন আরও শক্ত হয়েছিল।
বিরিশিরি ট্যুরের লাইন আপঃ রবিন আর রবিনের
মামা (ক্যাম্পাসের বাইরের বন্ধু), সাইফ, শাকিল, ফাতিন, রাজিব (একাউন্টিং), মিতুল,
শাকিল (কবি), মনির, আলাউদ্দীন, ফরহাদ, আমি আর ড্রাইভার। ছবিটা তুলেছিল রাব্বি খান।
তাই সে ফ্রেমের বাইরে।
সিলেট ট্যুরের লাইন আপঃ দাড়িয়ে- ফরহাদ,
রুমেল(আমার রুমমেট), সুমন, শাকিল(কবি),
মনির, আমি, শাকিল। বসে- আকাশ (সুমনের ভাই), অনি, অনিক, নুরু। ছবি তুলেছিল
মিতুল।
সিলেটে অনেক ঘুরেছিলাম আমরা। এই ছবিটা
লাউয়াছড়ার। রাতারগুলের মধ্যে সবাই আলাদা আলাদা নৌকায় ছিলাম তাই গ্রুপ ছবি এলনা।
দোস্তরা মাইন্ড খাইসনা।