Wednesday, June 24, 2015

পার্থক্য



সেদিনটাতে আকাশে সুর্য ছিলোনা,
মেঘে ঢাকা আকাশে মাঝে মাঝে বিদ্যুচ্চমক খেলে যাচ্ছিল বারে বার।
রিকশায় আমার পাশে বসে হাতটা শক্ত করে আঁকড়ে বসেছিলে তুমি;
আমি অনুভব করছিলাম তোমার উষ্ণতা, তোমার হৃদস্পন্দন।

আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আমার মাঝে পরম নির্ভরতা খুঁজছো;
আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আমার মাঝে ভালোবাসা খুঁজছো;
কিন্তু, বুঝতেই পারিনি সবই ছিল তোমার অভিনয়
তোমার অস্তিত্বের যে মায়াবী বিভ্রম আমায় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
আমি আঁধারে ছিলাম তোমায় নিয়ে, এক ঘন আঁধার,
যে আঁধার কাটিয়ে আলো আসতে অনেক সময় লেগেছিল

আজ আকাশে সুর্য নেই,
মেঘে ঢাকা আকাশে মাঝে মাঝে বিদ্যুচ্চমক খেলে যাচ্ছে বারে বার।
আমি একা রিকশায়

তবে, আমি আর আঁধারে নেই; আমি আলোর পথযাত্রী

Wednesday, June 10, 2015

তোমাকে চাই

নির্জনতার অতলান্তিকে ডুবে থাকতে চায় এ মন,
সব কোলাহল ছেড়ে,
একদম গভীরে,
প্রশান্তির সীমানায়।

তবে, সেখানেও আমি তোমাকে চাই।
তোমার হাতটি ধরে কাটিয়ে দেবো সহস্র বছর।
ভালবাসার মানে কি এই-ই নয়?

অগম্য অসীম উচ্চতায়  উড়তে চায় এ মন,
সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে,
একদম উপরে,
শেষ সীমানায়।
তবে, সেখানেও আমি তোমাকে চাই।
তোমায় জড়িয়ে ধরে উড়বো আজীবন।
ভালবাসার মানে কি এই-ই নয়?

Sunday, May 24, 2015

তার ভালবাসা

ভালবাসা অন্তহীন মিষ্টি যন্ত্রনা,
চোখের সামনে থাকে
তবু ছোঁয়া যায়না।
চোখের ইশারায় হারায় সব ফিরে আসেনা।

প্রতি মুহুর্তে সুখের আমেজ,
তার স্পর্শ চাওয়া,
শুধু প্রেম কামনা।
অধর স্পর্শ করতে  আর ধৈর্য্য সয়না।

রাত পাখির গানের সুরে
আর ঘুম আসেনা।
সবুজ তরুলতার মাদকতা
আর আকৃষ্ট করেনা।
তাকে ছাড়া আর কিছুই
এ মনে রয়না।



Thursday, May 21, 2015

সুখের সমুদ্রে

রিনিঝিনি শব্দের মাদকতা আবিষ্ট করে রেখেছে আমায়,
তোমার পায়ের নূপুরেরই রিনিঝিনি শব্দ।
বকুল ফুলের সৌগন্ধে আচ্ছন্ন আমি,
তোমার চুলে কি কখনও বকুল ফুলের মালা গোঁজা ছিল?
হয়তো বা।
তোমার মাঝেই তো ডুবে থাকি সারাক্ষন,
সে যে মুহুর্তই হোক না কেন।
স্বপ্নের মাঝে তো সুখের সমুদ্রে ভাসতে মানা নেই।




বৃষ্টি-স্মৃতি-নস্টালজিয়া


হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজা হল আজ,
আকাশে মেঘ বারেবার ডেকে স্মরন করিয়ে দিতে চাচ্ছিল কিছু বোধ হয়।
নস্টালজিক করতে চাচ্ছিলো আমায়। 
তবে অনেক বদলে গেছি আমি।
এখন স্মৃতি চেপে রাখতে জানি আমি,
অভিনয় করে যেতে পারি সবার সামনে যদিও রক্তক্ষরন হয় বুকে।
অনেক বদলে গেছি আমি,
সময়ের সাথে,
পরিস্থিতির সাথে,
পরিচিতির সাথে।
আমার ভেতরের আমি এখনও বদলায়নি;
বুঝতে পারছি।
নইলে হৃদয়ের মাঝে দাফন করা স্মৃতিগুলো আঁচড়ে উঠে আসছে কেন?
যখন আমি একা আছি।

Saturday, May 16, 2015

যিহোভা- কন্যা

অনাহূত অতিথির ন্যায় প্রবেশ করে
চুপি চুপি তোমায় দেখছিলাম
কিংডম হলের এক কোনায় দাঁড়িয়ে।
যিহোভার সাক্ষীরা ছিল নিজ নিজ প্রার্থনায় রত,
আর আমি তোমার রুপের উপাসনায়।
যতবার ঘোষক যিহোবার নাম নিয়েছেন
ততবার আমার মনে হয়েছে তুমি সেই সদাপ্রভুরই কন্যা,
তোমায় পাওয়া মানেই সদাপ্রভুকেই পাওয়া।
বলতে দ্বিধা নেই,
আমি প্রেমে পড়েছি তোমার ছোট দুটি মায়াবী চোখের,
তোমার কোঁকড়ানো কেশরাজির,
গোলাপ রাঙ্গা ঠোঁটের,
কারুকার্যময় সুন্দর শরীরের।
আমি যিহোভার সন্তান নয় তার জামাতা হতে চাই,
জানিনা তুমি কি সাড়া দেবে আমায়!

মেঘেদের ডাকবাক্সে

মেঘেদের ডাকবাক্সে একটা চিঠি পোস্ট করেছি তোমার নামে,
নীল অক্ষরে লেখা আমার সব কষ্টের শব্দগুলো
তোমার কৃষতনু ভেজাতে পাঠিয়েছি।
তোমার চোখের অশ্রুতে ভেজা কপোল টা আমার কত প্রিয়
তা লিখেছি চিঠিতে নিজের ভাষায়- শব্দে
তোমার তনু স্পর্শে সব শব্দ আবার প্রাণ ফিরে পাবে
সে আশাতেই পাঠিয়েছি।
ফিরতি খামে জবাব পাঠাবে সেই প্রতীক্ষা নিশ্চয় অপরাধ নয়?
তাই নাহয় প্রতীক্ষায় রইলাম আবার সেদিনের,
যেদিনের মেঘেরা ডাকবাক্স নিয়ে হাজির হবে তোমার আকাশে
আমার জন্য চিঠিটা নিয়ে আসতে।


Sunday, May 3, 2015

মাঝরাত ও উত্তরপ্রাপ্তি

কাল মাঝরাতে
ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো হঠাৎ
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়েছিলাম আমায় সত্যই ভালবাসে কোন নারী?’
কয়েকটা নাম আর চেহারা সামনে ভেসে উঠলো
সেলুলয়েডের পর্দায় যেভাবে ছবি ভেসে ওঠে
নাহ, কাউকে পাইনি সেভাবে
কেউ হয়তো আমার কবিতা ভালবাসে আবার
কেউ ভালবাসে আমার বোকামি;
কেউ বা আমার দুষ্টুমি ভালোবাসে।
কিন্তু, সম্পুর্ন আমিকে কেউ ভালোবাসে না
এই আমি যে মাঝে মাঝে কবি, মাঝে মাঝে উদাস,
কখনও করিৎকর্মা, কখনও আলসে,
কখনও আনন্দে উন্মাতাল, আবার কখনও পানসে
সব মিলিয়ে এই-ই তো আসল আমি,
যাকে একজন নারীই নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে
সব মেনে নিয়েই
সে আমার মা, পৃথিবীর সবচেয়ে স্নেহময়ী নারী
এই ছোট্ট কিন্তু সত্য উত্তর-ই ধরা দিয়েছে আমার মনে

কাল মাঝরাতে।

Wednesday, April 29, 2015

চেনা-অচেনা শহরে

চিরচেনা এক শহর ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ নিষ্পাপ,
সবাই যার যার জীবনের পুর্ণতা খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটে চলে অবিরাম।
তবে, মাঝে মাঝে চিরচেনা ব্যাপারটিও অচেনা হয়ে দাঁড়ায়,
কোন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয় এই অনুভূতির
হয়তোবা একা আমারই মনে হয় এমন টা
হয়তোবা সবারই।

এই ইট-কাঠ-কাঁচের শহরে অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যেতেও মানুষের।
সকালের সুর্য্য অনেকেরই অচেনা এখানে;
বিকেলের স্নিগ্ধতাও!
মাঝেসাঝে যখন অনুভবের শক্তি ফিরে আসে তখনও
হয়তো হাতের স্মার্টফোন দিয়ে সেলফি তুলে স্মৃতি রাখার চাপে
অনুভব করে ওঠা হয়না।
তবু আমি কেন অনুভব করি?

চেষ্টা করি উত্তর খোঁজার, চেষ্টা করে যাই। নিষ্ফল চেষ্টা।

Tuesday, April 28, 2015

কবি

অর্থহীন সব বাক্যাবলী সুনিপুন হাতে গেঁথে
মর্মার্থ যে লুকিয়ে রাখতে পারে
সেই-ই তো প্রকৃত কবি।

গাল ভরা খোঁচা খোঁচা দাড়ি রেখে
অবিন্যস্ত চুলে নিজেকে সাজিয়ে রাখা
আর সাধারনের সামনে গম্ভীর থাকাকে
যদি বোঝাতে চাও কবিত্বের লক্ষন;
তবে, আমি বলব তোমার সবই ব্যর্থ।

আমি কবি নই, আমি কাব্যের সৈকতে
অনভ্যস্তভাবে বালুর প্রাসাদ তৈরিকারী
এক অর্বাচীন, যার সৃষ্টি কালের মহাস্রোতে
ভেসে যায়, হারিয়ে যায় চিরন্তন;
নিশ্চিতই, আমি ঘটাই না কোন অনর্থ।

মহান কবি হতে চাও তো হও কালিদাসের ন্যায়
আপন মনে গেঁথে চল শব্দমালা,
যার বিচ্ছুরনে সারা পৃথিবী মাথা নুইয়ে
স্মরন করবে তোমায় কবি বলে।
মুখে হাসি তো ফোঁটাও নিঃস্বার্থ।

Thursday, April 23, 2015

বসন্তদূত বসন্তাগমনে না ডাকিয়া পারিবেনা,
ঈশ্বর তাহাকে সৃষ্টি করেছেন এভাবেই।
তেমনি কোন কবি কভু না লিখিয়া পারিবেনা
ইহা গ্রোথিত আছে যে কবির স্বভাবেই।




Wednesday, April 22, 2015

জ্ঞ্যাণী (বানানের ভুল ইচ্ছে করেই কৃত)

আকাশের নীলিমার দিকে তাকিয়ে বিশালত্বের শিক্ষা নিতে গিয়ে
ম্যানহোলে পড়ে ভু-ত্বকের গভীরতা মেপে আসা 
জ্ঞানীর অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আকাশের মতই গভীর- ভুমির মতই বিশাল। 
দুরবীনে অন্তরীক্ষ প্রদক্ষিন করে ফেলা অনেকের হয়ত
নিজের গ্রহের স্বরূপই উন্মেষ করার দুর্ভাগ্য হয়নি।
তাতে কিই বা আসে যায়,
কতজনে তো ঘুরেই বেড়াচ্ছে নাক উঁচু করে রাজপথে- যারা জন্মায়ইনি।

যিহোভা-নন্দিনী

পুর্ণশশীকলান্যায় মানবী নয়নসম্মুখে- 
আনত অক্ষি আর লাস্যময় ওষ্ঠ্যসহযোগে উপবেশিত।
হৃদয়ন্মুখ তাহার আখিসমুদ্রে ভাসিতে,
স্পর্শিতে তাহার মেঘন্যায় কেশ, প্রেমচুম্বনে আঁকিতে তাহার মধুময় অধর। 
ঈশ্বর অর্ধপৃথিবীকাম্য নহে মোর।
কাম্য বহুগুনে মুল্যবান যিহোভা-নন্দিনী প্রকৃত, যে
পুর্ণশশীকলান্যায় মানবী নয়নসম্মুখে-
আনত অক্ষি আর লাস্যময় ওষ্ঠ্যসহযোগে উপবেশিত।

Thursday, February 19, 2015

দেবী

ভাবতাম দেবীরা সবাই বুঝি গ্রীসেই থাকে,
তোমায় ভালভাবে দেখে বুঝলাম
আমার সে ভাবনাটা ভুল।

আমি কোন ভাস্কর নই যে তোমার পবিত্র দেহের
কোন ভাস্কর্য পাথরে ফুটিয়ে তুলব।
আমার মাঝে কাব্যিকতাও নেই যা লিখে
তোমার রূপকে নশ্বর করে তুলব।
তবে হ্যাঁ, ওই মায়াবী দুটো চোখের ইশারায়
আমি প্রেমিক হয়ে গেছি।

এক বোতল ভদকা এক চুমুকে শেষ করলে
যতটুকু না মাতাল হই আমি
তার চেয়ে বেশিই হই নিজের চোখ বেঁধে
তোমার চোখকে কল্পনা করে।

জানিনা কেন যেন তোমার মেঘকালো কেশরাজিকে
আমার আকাশের মেঘ মনে হয়।
সেই মেঘস্রিষ্ট বৃষ্টিতে সিক্ত হতে মন চায়
যদিও আকাশের অবস্থান নিজের মনেই
তবু বৃষ্টিটা কেন যেন হয়না।
আমার সব ক্ষমতা হারিয়ে গেছে
তোমার দেবীত্বের কাছে।
আমি সমর্পন করে বসে আছি আমার রাজত্ব।

কেন যেন মৌমাছি হয়ে যেতে ইচ্ছে করে!
বোঝ তবে, অজান্তে কতখানি জাদুই না করেছ আমায়!
দেবী হয়েছ বলেই কি তবে পৃথিবীর সমস্ত মৌচাক
নিজের ঠোঁটে স্থাপিত করেছ?
এখন সেই মধু আহরনে আমায় মৌমাছি তো হতেই হয়।

মাঝে মাঝে বাতাস হতেও ইচ্ছে হয়।
যদি হতাম তবে অন্তত দেবীর নিঃশ্বাসে
মিশে থাকতে পারতাম।
মাঝে মাঝে দমকা এসে তার বুকের ওড়না
নিয়ে উড়ে যেতাম, খেলতাম তার সাথে।
তার এলো চুলে পরশ বুলিয়ে দিতে পারতাম-
তোমার স্পর্শে ধন্য করে নিতাম নিজেকে।
তোমাকে মানবীতে রুপান্তর করতাম
দেবীত্বের দেয়াল চুর্ণ করে
পরম প্রেমস্পর্শে।