Tuesday, July 31, 2012

সোনালি নয়না ৩


অভ্যাস টা খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাসিদের। প্রতিদিন সকালে উঠছে ও। এমনকি কোন কাজ না থাকলেও। প্রতিদিন সকালে সেই সোনালি নয়না যে পথ ধরে আসে সেই পথে গিয়ে উকি ঝুকি মারা এখন ওর অভ্যাস। রুমমেট রাও বিরক্ত ওকে নিয়ে। কারন বেশিরভাগ সময় রুমমেট দের নিয়ে গিয়েই দারিয়ে থাকে সে রাস্তায়। সেদিন এক রুমমেট কে ঘুম থেকে তুলেই রওনা দিয়েছিল সে। সকালের প্রাকৃতিক কার্যকলাপ টাও সারতে দেয়নি তাকে। পরে বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে দারিয়ে কর্মসম্পাদন করতে হয়েছিল তার। আজ ক্লাস আছে। ইস্ত্রি করা শার্ট টা গায়ে চড়াল রাসিদ। রুমমেট এরও ঘুম ভাংল এসময়। শরিফুল (রাসিদের রুমমেট) জিজ্ঞাসা করল, ‘কি ব্রাদারু, মেয়ে কি পটে গেল নাকি? ডেটিঙে যাচ্ছেন মনে হয়?’ ‘আরে না না, এমনি একটু শার্ট ইদানিং ইস্ত্রি করছি। কেন খারাপ লাগছী নাকি?’ অপ্রস্তুত হাসি হেসে জবাব দিল রাসিদ। ‘নারে ভাই, এমনি মনে হইল তাই বললাম। তবে আজ মাইয়ায় নির্ঘাত আপনার প্রেমে পরে যাবে’। টিপ্পনী কাটল শরিফুল। রাসিদ ওই কথায় মনে মনে খুসি হল বটে, তবে কিছু না বলেই বেরিয়ে এল। বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড কাছে। ৩ মিনিটের পথ। রাসিদ প্রতিদিন আগে আগে বের হয়। সোনালি নয়নার হাটার ধরন টা খুব ভাল লাগে তার। কথায় আছে, পিরিতের কাউয়া দেখতে সুন্দর। এই প্রবাদ টা রাসিদের ব্যাপারে খুব খাটে।
স্ট্যান্ডে পৌঁছে রাসিদ দেখল আজ আগে আগেই এসেছে সোনালি নয়না। সাজগোঁজ করেছে হালকা। তাতেই রাসিদের মাথা আর ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেল। সত্যই তাকে স্বর্গের অপ্সরীর মত লাগছিল। কপালে টিপ, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক... এককথায় চরম একটা অনুভুতি খেলে যাচ্ছিল রাসিদের মনে। কাছে গেল রাসিদ। ‘কেমন আছ?’ জিজ্ঞাসা করল রাসিদ। মেয়েটি তার ট্রেডমার্ক হাসসি দিয়ে বলল ‘ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?’ রাসিদ উত্তর দিল,  ‘ভাল’। রাসিদ অনুভব করল তার পা কাপছে। আবার গলা দিয়েও কন স্বর বের হচ্ছেনা। মন থেকেও কন কথা আসছেনা। জিবন্ত একটা মূর্তির মত হয়ে গেল সে। ‘নার্ভাস হয়ে গেলাম নাকি?’ মনে মনে ভাবতে লাগল সে। ‘বাস কখন আসবে বলতে পারেন?’ মেয়েটির কথায় সম্বিত ফিরল তার। ‘এইত্ত আর ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই আসবে। কেন, অপেক্ষা করতে কি খারাপ লাগছে?’ রাসিদ বলেই মনে মনে হতচকিত হয়ে গেল। ‘আরিব্বাস দারুন ডায়ালগ হল তো, খিলাড়ির খেল তাহলে শুরু হচ্ছে’। মনে মনে ভাবল রাসিদ। সোনালি নয়না বল্ল,’না না খারাপ লাগবে কেন, সকাল টা খুব সুন্দর তাইনা?’।
রাসিদ বলল, ‘হ্যা’। আর মনে মনে বলল ‘তুমি পাশে আছ বলেই সকালটা এত সুন্দর!’ বাস চলে এল এরই মধ্যে। বাসে উঠে নিজের নির্ধারিত কমিতির সিটে বসল রাসিদ। মেয়েটা কাছাকাছিই বসল। বাইরের দিকে তাকিয়ে রইল মেয়েটা মুগ্ধ চোখে। যেন প্রকৃতি আজ সেজেছে অপরূপ সাজে। রাসিদ তাকিয়ে রইল সোনালি নয়নার দিকে। যেন প্রকৃতি তাকে সাজিয়েছে নিজের হাতে।

Wednesday, July 25, 2012



This song was made for JLF. The maker of this song is no more with JLF. So, the song is the only property of the writer.
S.Rasid
BBA, Management, 6th Semester.
Why this সাদাছেরি, কালাছেরি, শ্যামলাছেরি দি
Yo boys
I am sing song
Soup song
Superb song

Why this সাদাছেরি, কালাছেরি, শ্যামলাছেরি দি
Distinguish-u age-u age-u
Age is not fact-u
Heartily we wait-u wait-u
Girls get packed-u
Why this সাদাছেরি, কালাছেরি, শ্যামলাছেরি দি
Every type girl-u girl-u
Shows highly mood-u
Seeing hips breast-u breast-u
We become rude-u
Why this সাদাছেরি, কালাছেরি, শ্যামলাছেরি দি
হাতে বিড়ি
Only English
Hand la biri
Biri la ধোঁয়া
ধোঁয়ায় ভরা গাল-u
Freely move
Naughty comment
পারলে cut-u বাল-u.
Girl-u girl-u
 O! my girl-u
U showed me eyes-u
Time time-u
Every time-u
Made crazy boys-u

God we are frustrate now-u
They are happy how-u?
Why this সাদাছেরি, কালাছেরি, শ্যামলাছেরি দি.

Wednesday, July 18, 2012


জানিনা কেন আজ আমার এই হাল?
জানিনা কেন এসেছিল সেই সকাল।
গৌরিকা সে সুন্দর মেয়ে
কেন এ জীবনে এল?
জানতাম না ওই আলোর পিছে
লুকিয়ে আছে কালো।

সূর্য আকাশে জ্বলে সুন্দর
আমার বুকে জ্বলে আগুন।
সামনে যখন তার চোখ ভাসে
বহ্নি জ্বলে দিগুন।
সামনে সে, তার মাঝে সব, আমার চোখে জল।
এত প্রেম, ভালবাসা, কোথায় পাবি বল?

আমার হৃদয়, আমার এ প্রাণ,
তুই আমার পৃথিবী।
জ্বালা, জ্বালা, আরও জ্বালা
আর কত জালাবি?
এল, আমি মরছি যাতনায়।
সে কিভাবে মত্ত উন্মাদনায়।
এ কথাগুলো সব ছেলেদের
যারা ভুগছে এ যন্ত্রনায়।
জানিনা কেন আজ আমার হাল।
জানিনা কেন এসেছিল সেই সকাল?

Thursday, July 12, 2012


মধ্যরাত। চারদিক অন্ধকার। পাশের থেকে ভোঁসভোঁস আওয়াজ হচ্ছে। রুমমেট ঘুমাচ্ছে বুঝতে পারল রাসিদ। সে আর ডাকলো না তাকে। এদিকে তেষ্টাও পেয়েছে খুব। মোবাইলে সময়টা দেখল রাসিদ। রাত ৪ টা ৪৯ মিনিট। টানা ৯ দিন এই শীতের দিনে, ঘুমানোর আদর্শ সময়ে ঘুম ভাংল তার। এমনি এমনি নয় অবশ্য তা। সত্যি বলতে রাসিদ সেই মেয়ের প্রেমে পড়েছে। আরও গাঢ় ভাবে বললে সে সোনালী নয়নার প্রেমের চোরাবালিতে পড়েছে সে এমনভাবে যে নিজেকে আর বাচাতে পারছেনা। আজকাল রুমমেট রাও আশ্চর্য হয়েছে ওর এই স্পষ্ট পরিবর্তনে। সেদিন মাকসুদ ভাইও সরাসরি বলল কথাটা। রাসিদ শুধু মাথাটা নাড়িয়ে চলে গেল। অথচ অন্য কোন সময় হলে হয়ত এ নিয়ে টানা ৩ ঘণ্টা বকবক করত রাসিদ।
গত কয়েক দিনে কোন ক্লাস মিস হয়নি তার। আড়াই বছরের ক্যাম্পাস জীবনে সসে এই প্রথম টানা ৫ দিন ক্লাস করল। এটা এতদিন রাসিদও বিশ্বাস করতনা যে টানা এক সপ্তাহ সে ক্লাস করতে পারবে। অথচ সব উল্টে দিয়ে সে দিব্যি ক্লাস করছে। বাস স্টপেজে সে সবার আগে আগে যায়। এমনকি আগে যে নিচের তলায় যে সিট গুলোতে বসেও দেখেনি, সেই সিটে বসে বসে আসে। সব কিছু শুধু সেই একটা মেয়েরি জন্য। এতদিন রাসিদ জানত, পৃথিবীর সব পুরুষের সব কাজের পিছনে থাকে একজন নারী, এখন সে বুঝতে আরম্ভ করেছে কথাটা কতখানি সত্য।
সামনে পরিক্ষা। তাই হাল্কা পড়াশুনা করার জন্য বই খুলল রাসিদ। বই সামনে মেলেই সে তাজ্জব হয়ে গেল। ওর সামনে বইএর পৃষ্ঠায় সেই সোনালী নয়নার হাস্যজ্জ্যল মুখ। সকালে সূর্য তখনও ওঠেনি, কিন্তু রাসিদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল যেন সূর্যের আলো ওর চেহারায় ঠিকরে পরছে। রাসিদের আর পড়া হলনা। পড়বে কি? ওর মাথায় তো ঘুরপাক খাচ্ছে শুধু স্বর্ণাকে নিয়ে ভাবনা। রাসিদ তার কবিতার খাতা আর কলম টা নিয়ে বসে পড়ল। ভাবনাগুলো কলমের মাথা দিয়ে প্রবেশ করতে লাগল পৃষ্ঠায়।
কবিতা লিখতে লিখতে কখন যে সময় পার হয়ে গেল টেরও পেলনা রাসিদ। ঘড়ির অ্যালার্ম জানিয়ে দিল ৬ টা বাজে ‘রাসিদ, সোনালী নয়নাকে দেখতে যাবার সময় হয়েছে’। রাসিদ দ্রুত নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়ে রওনা দিল স্টপেজে। আজ কথা বলবে এমন একটা মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে তার। বাস স্টপেজে গিয়ে দেখল সে দাড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে দাঁড়াল রাসিদ। জীবনে প্রথমবার কোন একটা মেয়েকে এতটা ভাল লেগেছে এবং সেই মেয়ের পাসে দাঁড়িয়েছে এই কথা ভাবতে ভাবতে সেদিন আর সোনালী নয়না কে কিছু বলা হলনা তার। এরই মধ্যে বাস চলে আসল। আর সবার মত রাসিদও উঠল বাসে। গিয়ে বস্ল ছেলেদের একদম সামনের সিট টাতে। সেই সোনালী নয়নাও তাকে দেখল একবার। তার ঠোঁটের কোনায় ফুটে উঠল একচিলতে হাসি। রাসিদ সেই হাসিতেই কুপকাত হয়ে পড়ল এমনি যে পুরো সময় সে তার দিকেই তাকিয়ে থাকল আরেকবারের আশায়।

Wednesday, July 11, 2012

nena gilgamesh


নেনা গিলগামেশ

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুজে দেখেছি আমি,
পাইনি এমন কাউকে যাকে বলা যায় এ মনের কথা।
আমার বিচরন যে পৃথিবীর পথে প্রান্তরে, কণ্টকপূর্ণ, বেদনাতপ্ত।
পাইনি কাউকে যে পারবে সইতে সে ব্যাথা।
তাই খুজেছি মনে মনে, সযতনে, পাব কবে ভাবিনি।
তাকে পাব খুজে তাও চিন্তা করিনি কভু।
হঠাৎ একদিন এক অপূর্ব জায়গায়, স্বর্গীয় আভায়
পরিপূর্ণ তোমায় মিলালেন আমার প্রভু।
দেখে প্রথম তোমায় হারালাম নিজেকে, নিশ্চিতভাবেই।
হারিয়ে গিয়েছিলাম এক অজানা রাজ্যের সীমানায়।
সেখানে বেধেছি ঘর, দেখেছি চাঁদ তোমার সাথে,
চান করে দুজনে একসাথে, প্রেমের যমুনায়।

যখন ফিরল সম্বিত, বুঝলাম সব প্রহেলিকা
মরুভুমির ন্যায় তুমি আমার জীবনে এক মরীচিকা,
তবু কেন ভালবাসি তোমায় জানিনা গৌরিকা।
এ কি নিজেকেই নিজে দেওয়া ধোঁকা?
জানি অসম্ভব নয় পাওয়া তোমায়, রূপসী।
তুমি আমার প্রেমের স্বর্গের মীনাক্ষী, উর্বশী।
তুমি আমার গনিতের এক অজানা অজ্ঞ্যাত রাশি।
তুমিই সব কিছু আমার, এ গিবউরের প্রেয়সী।
পৃথিবীর যত স্বর্ণ, রৌপ্য আছে জ্যজুল্যমান।
তোমার ওই চোখের তারায় যে সবই অম্লান।
করেছ জাহর চারিদিকে তুমি, যা এল করেছিল কালো।
ধন্য জেহভা করেছে আমায় দিয়ে হেম্মার আলো।
এই আকাশ, বাতাস করেছে আমায় প্রতিজ্ঞা জানিয়ে আমে,
চাঁদে আছে কলঙ্ক, কিন্তু নও তুমি টামে।
পবিত্র তুমি সেই মৃত্তিকার মত, যাতে ঈশ্বর দিয়েছে ছোঁয়া।
সেই পাহাড়ের মত যাতে এসেছে মহা আইন।
সব আমার কাছে আছে পরিষ্কার, নেই একরত্তি ধোঁয়া।
তুমিও ভাবছ আমায়, হবে একদিন আমার, আমিই ইনাইন।

গিবউর= ট্র্যাজেডির নায়ক,টামে= কলঙ্ক আচ্ছে যার,জেহভা= ঈশ্বর,জেহর= আলোকিত,হেম্মা= সূর্য,
ইনাইন= ভবিষ্যৎ।

Wednesday, July 4, 2012

সোনালী নয়না


কাক ডাকা ভোর। সূর্য এখনও তার চেহারা পৃথিবীকে দেখায়নি। তাই ঘরটা খানিকটা অন্ধকার। মোবাইল এর অ্যালার্ম তাও বেরসিক ভাবে বেজে চলেছে অবিরাম। শীতের এই সকালে অত্যাচারটা ভাল লাগল না রাসিদের। অন্য যে কোনদিন এত অত্যাচারের মাঝেও এমন ঘুমন্ত পরিবেশে ওর ঘুম কখনও ভাঙ্গেনা। তবে আজ কেন যেন ঘুম ভেঙ্গে গেল। অনেক এপাশ ওপাশ করেও ঘুম এর কোন সিগন্যাল পেলনা রাসিদ। অগত্যা ঘুম থেকে উঠতে হল তার। প্রচণ্ড শীত। কাথার নিচ থেকে বের হয়েই এক প্রকার বিপদে পড়ল সে। আগের সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে ফিরেছে সে। শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত। কোন রকমে বাথরুমে গিয়ে কল ছাড়ল রাসিদ। পানি মুখে ছিটাতেই মনে হল ওর মুখের শিরাগুল যেন জমে গিয়েছে। তবু গোঁয়ার এর মত করে ফ্রেশ হয়ে নিল রাসিদ ওই ঠাণ্ডা পানি দিয়েই। ঘরে ফিরে ঘড়িতে দেখল সকাল ৬ তা বাজে। ‘আজ ভার্সিটিতে যাওয়া যেতেই পারে’ মনে মনে ভাবল রাসিদ। তার ক্লাসমেট দের মধ্যে সেই একমাত্র ছাত্র যে কি না নিয়মিত ভাবে অনিয়মিত তার ক্লাসে। ভার্সিটির সবাই যদি একটিভ হয় তবে সে একমাত্র প্যাসিভ ছাত্র। ৭ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি যায় টার বাসার পাশ দিয়ে। সেই বাসে যাবে বলেই মনস্থির করল রাসিদ। প্রায় এক মাস পর ভার্সিটিতে যাওয়া হবে, বন্ধুদের কি কি মন্তব্য হজম করতে হবে তার একটা খসড়া মনে মনে তৈরি করতে প্রস্তুত হতে লাগল সে। ৬-৩০ বাজে ঘড়িতে অ্যালার্ম টা আবার কর্কশ ভঙ্গিতে জানিয়ে দিল তাকে। রাসিদ ভাবল বেরিয়ে পড়াই যায়। যেই ভাবা সেই কাজ। কালবিলম্ব না করে বেরিয়ে পরল সে। কাধে একটা ব্যাগ আর কানে কান টুপি পড়ে হেলে দুলে বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিল সে। পরনে একটা মোটা জ্যাকেট, তাতেও শীত মানছিলনা তার। তবে তাকে কিম্ভুতকিমাকার লাগছিল, কারন সে এমনিতেও মোটা। তার উপর আরেকটা মোটা জ্যাকেট থাকায় মনে হচ্ছিল সে যেন এস্কিমদের দ্দেশ থেকে এসেছে।
বাসার থেকে বাস স্ট্যান্ডের দূরত্ব অল্প। তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌঁছে গেল সে তার গন্তব্যে। রাসিদের প্রথম কাজ হল তার আশে পাশে কে কে আছে টা একটু দেখে নেওয়া। এদিনও ব্যাতিক্রম হলনা। তিনটা মেয়ে পাশা পাশি দাড়িয়ে আছে। গল্প করছে। দুই জন কে সে চেনে। তৃতীয় জন একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলে তাকে চিনতে পারলনা রাসিদ। যেহেতু পরিচিত কেউ নাই তাই একা একা বাস আসার পথের দিকে তাকিয়ে রইল সে।
‘দেখ, ছেলেটা কিভাবে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছে’ পাশ থেকে ওই মেয়েগুলোর মধ্য থেকে কেউ বলে উঠল। কণ্ঠটা খুব মিষ্টি আর নরম। রাসিদ লক্ষ্য করল ওই মেয়েগুলোর দিকে। তিন নম্বর মেয়েটা তখনও অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ছিল। রাসিদ বুঝতে পারল কণ্ঠ টা তারই। কারন বাকি দুইজনের কণ্ঠ তার ভাল্ভাবেই চেনা। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটু কাশল সে। এতক্ষনে মেয়েটা ফিরে তাকাল এদিকে। রাসিদ অপলকে তাকিয়ে রইল তার দিকে। সত্যি বলতে সকালের ওই পবিত্র সময়ে তার সামনে সোনালী নয়না এক সুন্দরিকে দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিলনা। মেয়েটির স্বর্ণাভ চোখ, গোলাপের পাপড়ির মত লাল ঠোঁট, গৌর বর্ণ চেহারা মুহূর্তেই তার মস্তিষ্কে একটা আঘাত হানল। আর তার শরীরে জড়ানো লাল চাদর দেখে মনে হচ্ছিল যে ওর সামনে এক রাঙ্গা গোলাপ দাড়িয়ে আছে যে কিনা ঈশ্বরের নিজ হাতে তৈরি। অদ্ভুত এক মায়া গ্রাস করল তার মনকে। রাসিদ বুঝল এই মেয়েকে ছাড়া হয়ত সে বাচতেই পারবেনা। এরই মধ্যে বাস এশে হাজির হয়ে গেল। বাসে উঠলেও তার চোখ শুধু খুজে ফিরতে লাগল সেই সোনালী নয়না কে।