Tuesday, September 6, 2016

মধ্যরাতে

মধ্যরাতটাকে বড্ড আপন মনে হয়;
চারদিকে নিস্তব্ধ থাকে...
নিশ্চুপ।
ভেতরের আমিটা,
যে কিনা সামাজিকীকরনের চাপে পরে লুকিয়ে থাকে সারাটাদিন,
বেরিয়ে আসে তাজা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
সারাটাক্ষন অভিনয় করে যাওয়া আমিটা
একটু স্বস্তি পায়,
একটু স্বস্তি খোঁজে,
বাইরের 'আমি'র কাছে।
মরুর বুক থেকে বেরিয়ে আসে পিরামিড
হাজার বছরের হাহাকার,
মৃত সেসব অনুভুতি, অপ্রকাশ্য।
ভেঙে পড়া ভেতরের ক্লান্ত আত্মা
বাইরের দ্বিচারিতা দেখে আরো ক্লান্ত হয়
অবাক হয়,
আবার লুকিয়ে পড়ে আরেকটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে।
আমি নির্বাক চেয়ে দেখি
দুই চরিত্রের মুখোমুখি হওয়া।
যখন তুমি হয়ত আমায় সম্পুর্ন ভুলে গ্যাছো
আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে..

বলা হয়নি, ভালবাসি

আকাশ থেকে যখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরে,
তোমার হাসি আমার মনের উঠোনে রোদ ছড়ায়;
আমাকে উষ্ণ করে।
শত বিনিদ্র রাত কেটে গেছে 
আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে।
চাঁদটাও আমায় মাঝে মাঝে উপহাস করে
আমার ভীরুতা নিয়ে।
সে তো জানেনা তোমায় বলতে আমার দ্বিধা নেই,
সংকোচ নেই।
আমি শুধু ভয় পাই,
তোমায় পাওয়ার জন্য এক পা এগিয়ে
তোমাকেই না হারিয়ে ফেলি জনমের মত।
বালিকা,
জেনে রেখো,
প্রভুর কাছে যদি কিছু মন দিয়ে চাই
তবে সেটা তোমার-ই সুখ।
তাই, আকাশ থেকে আজ বৃষ্টি ঝরছিলো,
তোমার হাসিও উষ্ণতা ছড়াচ্ছিলো, তবু কাছে যাইনি।
বলিনি,
ভালোবাসি।

মেঘ

রাতের আকাশে তারাগুলো
মিটিমিটি জ্বলছে বিরামহীন।
সুর্যের আলো ধার করে হলেও
রাতটাকে আলো দিয়ে যাচ্ছে চাঁদটা অবিরত।
রাস্তার পাশে বৃষ্টিতে ভেজা সারমেয়গুলো 
কেঁদে যাচ্ছে অবিরাম সুরে।
আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরিয়ে
মেঘগুলোই উপস্থিত নেই।
গোল্ডলিফের ধোঁয়া দিয়ে কী এই অপূর্ণতা
পূর্ণ হবে, বালিকা!
যেমন করে তোমার অপূর্নতাকে পূর্ণ করে নিই।