Wednesday, December 24, 2014

বাংলাদেশ

সোনালি ফসল দিগন্তজুড়ে,
সুর্যের আলোয় ঝিকিমিকি করা সবুজ ঘাসের উপরে শিশিরবিন্দু।
সকালের মৃদুমন্দ হাওয়ায় নাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া কিশোরীর চুল।
ট্রাক্টরে চেপে বীর হেক্টরের মত জমির দিকে এগিয়ে যাওয়া
বুক চিতিয়ে থাকা খর্বকায় কৃষাণ।
যদি দেখতে হয় এমন দৃশ্য তবে একটা মাত্র দেশ 
বা একটি মাত্র ভুখন্ডই আছে এই বিশ্বে।
সেটা সোনার বাংলা, আমাদের বাংলাদেশ।

দুপুরের কাঠফাটা রোঁদে,
ছোট গাছটার নিচে জিরিয়ে নিচ্ছে ছোট ডেভিডের মত দেবশিশু।
এলোচুল ভাসিয়ে পুকুরে জলকেলি করছে কিশোরী-যুবতী।
শ্রান্ত দেহে ঘর্মাক্ত বীর ফিরছে আপন নিবাসে
হাতে জীবন যুদ্ধের অস্ত্র কোদাল বা কাস্তেটা নিয়ে।
যদি দেখতে হয় এমন দৃশ্য তবে একটা মাত্র দেশ 
বা একটি মাত্র ভুখন্ডই আছে এই বিশ্বে।
সেটা সোনার বাংলা, আমাদের বাংলাদেশ।

সাঁঝের রক্তিম আকাশে
যখন সুর্য ডোবে ওই ফসলের মাঠের কোলে,
পল্লীবধুরা তাড়িয়ে নিয়ে যায় নিজেদের গৃহপালিতগুলোকে,
হাল্কা বাতাস নাড়িয়ে দিয়ে যায় তাদের আঁচল।
লাজে বা উত্তেজনায়ই হয়ত কাঁপে।
যদি দেখতে হয় এমন দৃশ্য তবে একটা মাত্র দেশ 
বা একটি মাত্র ভুখন্ডই আছে এই বিশ্বে।
সেটা সোনার বাংলা, আমাদের বাংলাদেশ।

Tuesday, December 23, 2014

ভাবনার প্রতিচিন্তা

অশ্লীল ভাবনাগুলো উকি দিয়ে যাচ্ছে তোমার মনে, তাইতো?
তাকিয়েছি না হয় তোমার চিকন লালাভ ঠোঁটের দিকে।
সেজন্য এতটা নীচ ভাবার দরকার আছে কি,
ফুলে যদি মধুর আভাস পাওয়া যায় তবে মৌমাছি কি তাকাবেনা?
আমি তো ভেবেছিলাম তোমায় ভালবাসব,
হৃদয়ের গহীন থেকে।
একবারও ভাবিনি তোমায় উদ্বাহু জড়িয়ে ধরে আদরে আদরে
ভরিয়ে দেব তোমার শরীর।
যেমনটা ভাবছ তুমি, দেখতে পাচ্ছি যা তোমার মনের পর্দায়।

আবারো!  
আমায় নীচু ভাবলে? গাল দিলে আমায় অসভ্য বলে?
একবার না হয় তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে চুলের সুঘ্রান নিয়েছি।
স্পর্শ করেছি তোমার চুলের খোপা।
সুগন্ধী গোলাপ ছোঁয়াও কি অন্যায়, বল?
আমি তো একবারও ভাবিনি পেছন থেকে জড়িয়ে তোমায়
চুমু খাব তোমার সুন্দর স্কন্ধে।
যেমনটা ভাবছ তুমি, দেখতে পাচ্ছি যা তোমার মনের পর্দায়।

আলোর পথযাত্রী

আঁধারের মাঝে খুঁজে চলেছি একটু আলোর দিশা,
ত্রস্ত পায়ে ব্যস্ত আমি হোঁচট খাচ্ছি বারেবার।
ঝিঁঝিঁ পোকারা আলতো আলোয় করছে ব্যর্থ চেষ্টা 
দেখাতে পথ, যে পথের শেষে অগ্নিকুন্ড
বিলোচ্ছে আলো- কাটাচ্ছে তমসা আঁধার।

এ পথে কাঁটা বেছানো অসংখ্য, বিষাক্ত সব।
নাঙ্গা পদযুগলে অজস্র আঘাত, রক্তাক্ত দেহ- হৃদয়।
তবু ছুটে চলেছি আলোর পানে সব করে তুচ্ছজ্ঞান,
হেয়ালির চুড়ান্তে সব অবজ্ঞা করে চলেছি আমি এগিয়ে
অন্তহীন এ যাত্রায়, হতে উদ্ভাসিত জ্যোতির্ময়।

Thursday, December 18, 2014

জীবনসঙ্গী

কেউ যখন প্রশ্ন করে কেমন জীবনসঙ্গী চাই তোমার,
ধন্দে পড়ে যাই আমি।
আসলেই তো কেমন সঙ্গী চাই এ জীবনে?

উত্তর খুঁজলাম নিজের মাঝেই হাজারো বিশ্লেষণ করে।
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম কোন ব্যাপারটাকে বেশি গুরুত্ব দেব,
শারীরিক না মানসিক?
উত্তর দিল হৃদয়, 'শারীরিক সন্তৃপ্তি দেয় মানসিক প্রশান্তি।'
তবে আমার দুই-ই চাই?

তাহলে দেখতে কেমন হওয়া উচিত আমার সেই সঙ্গীর?
উত্তর দিল হৃদয়,
"স্বপ্নবোনা যার চোখের তারায়, ঠোঁটে সারাখ'ন মিষ্টি হাসি।
একনজরই যথেষ্ট পড়তে মায়ায়, বলতে- 'ভালবাসি'।"

এছাড়া আর কি চাই আমার? ভাবতে আরম্ভ করলাম,

উত্তর দিল হৃদয়, 'তার হতে হবে এমন একজন
যার হাত ধরে হাজার বছর কাটিয়ে দিলেও ফুরাবেনা চাওয়া।'

আর কেমন হওয়া উচিত হবে তার?

এবারে আর হৃদয় নয়, মস্তিষ্ক জানালো
'যে বুঝবে আমায়, যার প্রতি চুম্বনে কাটবে আমার শত পাপ,
যার আলিঙ্গনে শুদ্ধ হব যীশুর মত,
যে আগলে রাখতে জানে নিজের সতীত্ব।
যে বিশ্বাস রাখতে জানে বুকের গভীরে,
যে ভালবাসতে জানে আপনজনে, যার মাঝে আছে ক্ষমতা
করতে আমায় নিয়ন্ত্রন।

Monday, December 8, 2014

সনেট লেখার অপচেষ্টা

বছর ছয় আগে মিলেছিলাম সব
ভর্তিরযুদ্ধ শেষে, বিজয়ী যোদ্ধা বেশে।
ছিল এতদিন আমাদের কলরব
ছিলাম আনন্দিত, বন্ধুত্বের আবেশে।

চোখ বন্ধ করে দেখি শুরুর সেদিন
আজ সব উপনীত শেষের দুয়ারে।
অবারিত মনের দুয়ার বন্ধুবিন-
জানিনা নয়া জীবনে টিকব কি করে!

প্রার্থনা সব সেই মহাপ্রভুর কাছে
যিনি মিলিয়েছিল সব অঙ্গুলী দ্বারা।
ভাল থাকুক সব বন্ধুরা আমাদের।
জানি আবেগ- ভালবাসা সবই মিছে
বাস্তবের কাছে হবে সবই গো-হারা।
তবু বিচ্ছেদ অনুভব করছি ঢের।


Tuesday, December 2, 2014

অপলা

অপলা,
দৃষ্টিসীমানা জুড়ে
তোমার দেহপল্লব, শ্রাবনের মেঘের মত কেশরাজি,
তোমার অনন্তযৌবনা মায়াবী চোখ আর তার রহস্যময়তা।
অজানা এক শিহরন জাগে তোমার হাসিতে।
প্রতিটা রোমকূপ আমায় জানান দেয় তুমি হাসছ!

অপলা,
মায়াবী ঘাতিকা আমার!
একবার তোমার উর্বরা শস্যক্ষেত্রে
আমায় প্রবেশ তো করতে দাও। আমি কৃষক হব...