জাগতিক সব ব্যস্ততা আজ অবর্তমান।
যৌবনের উচ্ছলতা, কৈশোরের চপলতা, চার দেয়ালের মাঝে অন্তরীন।
জীবনের মানে খুঁজতে হয় এখন হৃৎপিন্ডের শব্দে,
বাতাসে ভেসে বেড়ায় অদেখা মৃত্যুদূত।
বাইরে থেকে ফেরা পরিযায়ীর থেকে নিরাপদ দূরত্ব খোঁজে
আপন বলে জানা মানুষগুলো।
ক্ষুধা পেটে হেঁটে আসে লক্ষ মানুষ মৃত্যু-মিছিলে,
হিমঘরে বসে আবেগের খেলনায় চাবি দেয় স্বভাবভূখা-রাক্ষস।
ক্ষুধিতের চাল ঢোকে জাত-তস্করের গুদামে,
খোলা বুকে যুদ্ধে নামে প্রধানের হুমকি খাওয়া সৈনিক।
খোঁয়াড়ে ঢুকতে চায়না অবাঞ্চিত শুয়োরের পাল-
লাঠি হাতে ক্লান্ত হয় উর্দীসমেত রাখাল;
খাজাঞ্চিদারও করে করজোরে মিনতি, ঘরে থাকুন!
সুর্য ওঠে- অস্ত যায় প্রকৃতির নিয়মে;
প্রতিদিন জাদুবাক্সে গল্প শোনায় কানহীন গর্দভ।
দূরে শোনা যায় কান্নার শব্দ, পাখির ডানায় পৌছে যায় মহল্লাগুলোয়।
শব্দ শুনেই লুকিয়ে পড়ে ভিখিরি-নিষ্কম্মার পাল;
পাছে যেতে হয় মুর্দার কাছে! আরেকদল দিন গোনে শীত আসতে কত দেরী!
মানুষগুলো করে অপেক্ষা-
কবে শেষ হবে এ নির্বাক সন্ধেগুলোর,
আবার প্রাণোচ্ছাসে ভাসবে প্রিয় পৃথিবী,
আবার প্রিয়জনের বুকে মাথা রেখে নেয়া যাবে ভীতিহীন শ্বাস?
নীরবে চলে প্রার্থনা, ক্ষণগণনা আর
প্রতীক্ষা।
ঢাকা
২৪ এপ্রিল, ২০২০
১১ বৈশাখ, ১৪২৭