Sunday, September 14, 2014

আমি মন্দিরের পুজারী

আমি সেই মন্দিরের পুজারী।
সেই মন্দিরের,
যার উর্ধ্বপার্শে লালচে-কালো রঙ্গে রাঙ্গানো।
সাঁঝের মায়া যার মাঝে বিকশিত হয়।

সেই মন্দিরের,
যার আছে দুইটি উদ্ধত উঁচু গম্বুজ।
চন্দ্রাকার, যার মাঝে হৃদ-স্পন্দন বন্ধ হয়।

সেই মন্দিরের,
যার পেছনে উঁচু হেলানো সিড়ি।
যে সিড়ি দেখেই চড়তে ইচ্ছে হয়।

সেই মন্দিরের,
যার প্রবেশপথ এক আজব জলাধার।
যে প্রবেশপথে ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে অনেকে।

সেই মন্দিরের মাঝের দেবী
সুন্দর ভগধারী আমার ভগবান।

বহুবার ছিন্ন করতে চেয়েছি সেই ভগকে।

Tuesday, September 9, 2014

অপ্সরা

মনোহারিনী,
হৃদ-মাঝারে স্থান দিয়াছি তোমায়।
ভালবাসিয়াছি তোমায়।

কোন এক বর্ষায়
আঠারো-বাকীর তীরে-
নীপবনে,
আনন্দে উদ্ভাসিত হইয়া নৃত্যে ছিলে মগ্ন।
বুঝিনি-
তব মুখখানি দেখিবার কাল
আমার শ্রেষ্ঠ লগ্ন।

তোমার উচ্ছলতা,
প্রাণবন্ত আবেগ
আর চাহুনীতে আমি মুগ্ধ-
আমি পাগল মনোহরা।
নাম দিয়াছি ভালবাসিয়া তোমায়

‘অপ্সরা’।

Monday, September 8, 2014

আজ অনেকদিন পর

আজ অনেকদিন পর দেখা হল তোর সাথে।
আগের চেয়ে অনেক মুটিয়ে গেছিস,
সেই সৌন্দর্য আর নেই তোর মাঝে।
যে সৌন্দর্যকে আমি পুজো করতাম।
যে সৌন্দর্যকে আমি ভালবেসেছিলাম
ঝঞ্ঝার দিনে।

আজ অনেকদিন পর দেখা হল তোর সাথে।
আগের চেয়ে অনেক ধী-স্থির হয়েছিস,
সেই চাঞ্চল্য আর নেই তোর মাঝে।
যে চাঞ্চল্যকে আমি উপভোগ করতাম।
যে চাঞ্চল্যকে আমি ভালবেসেছিলাম
ঝঞ্ঝার দিনে।

আজ অনেকদিন পর দেখা হল তোর সাথে।
আগের চেয়ে অনেক একলা হয়েছিস,
সেই ভিড় আর নেই তোর পাশে।
যে ভিড়টাকে তুই ভালবাসতি,
যে ভিড়টাকে আমি হিংসে করতাম
ভালবাসার দিনে।