Saturday, October 19, 2019

শিক্ষক

মানুষ হয়ে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায়না,
অন্ধকারে হাতড়ে গেলেই এডভেঞ্চার হয়না।
জন্ম দিল বাবা মা, শিক্ষা দেবে কে?
শিক্ষকেরই দরকার জীবনের এই বাঁকে।

শিক্ষক পরম পূজনীয়
শিক্ষা করেন দান,
মানুষের কাছে শিক্ষা
আঁধারে আলোর সমান।

আলোকিত করে যান সমাজকে
হয়ত নিজের পকেট গড়ের মাঠ।
বুকের ব্যথা বুকে চেপে
শেষ করে যান প্রতিটা পাঠ।

শিক্ষক সমাজের আলোর প্রদীপ,
ন্যায়ের দীক্ষা-ই তার জীবন প্রাণ।
চান না তিনি কিছুই
যেন ভুল না হয় দিতে তার প্রাপ্য সম্মান।

Friday, September 6, 2019

সময়

কখনও কখনও নিজেকে
নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো
সাদা মেঘের মত ভাবতে ভাল লাগে।
যে মেঘের স্বাধীন, পিছুটানহীন এক নিরুদ্দেশ যাত্রা।

যে যাত্রায়
মাঝে মাঝে দেখা হয় কিছু উড়ন্ত পরিযায়ীর সাথে,
কাটে সুন্দর কিছু ক্ষণ।
মায়ায় বিঁধে মন কিন্তু বাঁধা পড়ে না।
ক্ষনিকের ভাল থাকা শেষে নতুন করে শুরু হয় পথচলা।

কখনও কখনও নিজেকে
উপকূলের বুকে আছড়ে পড়া
তীব্র স্রোতের মত ভাবতে ভাল লাগে।

যে স্রোতের সাথে ভেসে চলে
অষ্টাদশী কিশোরির চুলে খোঁপা হয়ে বিধে থাকা ফুল
আর আনন্দ নিয়ে সাগরের বুকে ঘুরে বেড়ানো
সব নীল ডলফিন।
প্রশান্ত থেকে বঙ্গোপসাগরের প্রতিটি উপকুলে
যাদের যাতায়াত, বিরামহীন।

মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ ভাবতে ইচ্ছে করে।
ভাবনাটা হয়তবা খুব অপ্রাসঙ্গিক আদিপাপের ফলে।
ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে যায়,
সময় বয়ে যায় মেঘের মত, সাগরের স্রোতের মত।

Thursday, July 18, 2019

হে রাষ্ট্র

হে রাষ্ট্র,
তোমার জন্য একরাশ বেদনা আর ঘৃনামিশ্রিত অনুভুতি নিয়ে
লিখতে বসেছি তোমার এপিটাফ।

জানি, এখনও পুরোপুরি নিঃশেষ হওনি
নিবু নিবু করে জ্বলছে তোমার জীয়ন-মশাল।
পঁচে যাওয়া শরিরতন্ত্র নিয়ে তোমার বেদনাময় বেঁচে থাকা।

পায়ের তালুতে সব পরজীবি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন
হাঁটুর জোড়া ভেঙ্গেছে সেই কবে।
পেটের ভেতর কৃমিরা সব লুটছে নির্বিচার,
হৃৎপিণ্ড আর কত ভার ব'বে?

গলায় তোমার যক্ষার ফলে স্বর ফ্যাসফেসে ধীর
দৃষ্টি ক্ষীন, তাও এক দিকে!
শ্রবনে কান বধির।

নাসিকারন্ধ্র পঁচে গেছে কবে, শ্বাসে অপঘ্রান,
মস্তিষ্কের নিউরন সব অকার্যকর, মানবের অপমান। 

হে রাষ্ট্র,
বাড়তে দিয়েছ শরিরে সব পরজীবি- ক্ষতিকর ভাইরাস।
ধ্বংস তোমার অবশ্যম্ভাবী। 

শেষ সময়ে প্রাপ্য তোমার শুধুই দীর্ঘশ্বাস!

Wednesday, May 22, 2019

Let the light to come

A long way to
through the darkness
  Long way to go
   through the harshness

Let the light to come.
It's unbearable to be in dark.
Let the light to come
It's valuable to make the mark.

Saturday, May 4, 2019

মন্দির

তোমার স্তনের ভাঁজে আটকে থাকা আমার চোখ,
আর যোনীর মাঝে ডুবে থাকা মস্তিষ্কের জন্য
আমায় ক্ষমা কোরো, নারী।
সত্তরটা হুরের নেশায় মত্ত আমি,
তেমনি হিংস্র তোমার পশ্চাতের নরম মাংসের জন্য,
তোমার ঠোঁটের মধুলেহনে তৃষ্ণার্ত।

আমায় ক্ষমা কোরো, নারী।
তোমার শরীরটাই আমার পূজ্য মন্দির।

Saturday, April 20, 2019

সত্য

বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত 
শত শত ঢেউয়ের বিপরীতে লড়াই করে টিকে থাকা,
আর ক্ষয়ে যাওয়া পাথরের জন্য আর্তনাদ করার দিনগুলোর মাঝে
সোনালী সূর্যালোকের চুম্বনগুলো সুখস্মৃতি বটে।
তবে, 
তা বাস্তবতা নয়। 

আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুই সত্য নয়;
মিথ্যার আবর্জনার উপরে রংচটে প্রলেপ মাত্র।
ক্ষনিকের জন্য তাতে চোখ ধাঁধাঁয় হয়ত, প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা। 

মুঠোফোনের তরঙ্গে ভেসে আসা জীবন্ত কন্ঠ
আর পর্দায় দেখা লাস্যময়ীর পেছনে যে কোন মৃত আত্মা বসে নেই
সে নিশ্চয়তা স্বয়ং সবজান্তাও দিতে পারেন না। 

সত্য হল কষ্ট আর বেদনা
সত্যের পরম রঙ নিকষ আঁধার,
এতটুকু জানতে নিশ্চয় হিমালয়ে সন্ন্যাসী হতে যেতে হয় না!

Saturday, March 2, 2019

তুই

তোকে হারাবার পর অনেক দিন পার হোলো
জানিস তো, 
এখনও বেঁচে আছি তোর স্মৃতি নিয়ে।
বছরের কোন একটা মেঘলা দিনে
সবকিছু থেকে ইস্তফা নিয়ে দিনটা কাটাই তোর ফেলে যাওয়া রত্নগুলোর সাথে।

তোর সেই হাসিমাখা মুখের ছবিটা বুকে জড়িয়ে 
কেটে যায় দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত। 

ঘড়ির কাঁটা যখন বারোটা ছুঁইছুঁই 
মুঠোফোনের নোটস এপ্লিকেশনটা তখন
পর্দায় জানান দেয়,
'কাল থেকে আবার শুরু সেই একঘেয়ে, বিষন্ন দিনের ক্রম গোনা'

যে দিনগুলো 'তুই' হীনা।

Monday, February 4, 2019

বয়ে চলা স্বপ্ন

একগাদা গলে যাওয়া স্বপ্ন বয়ে চলা বাহনে
হাজার টনি দায়িত্বলোহার অসম্ভব চাপ।
থুবড়ে পড়া ইঞ্জিনে তবু জাগবার বজ্রনিনাদ,
স্টিয়ারিঙে হাত রেখে ফিরে দেখাও পাপ।

টায়ারগুলো সব ক্ষয়ে যাওয়া বাতিল প্লাস্টিক,
সাইডভ্যিউ মিররে টানানো ভাঙ্গা আয়নার কাঁচ।
ক্লাচে করেনা কাজ, ব্রেকটাও কাটা
সামনে বাম্পারের হাল বাংলার পাঁচ।

তবু চলার নেশায় উদ্দাম তাই গতি ছাড়ায় ষাট,
আর অল্প দূরেই যেতে হবে, যেখানে হবে অস্ত পাট। 

Friday, February 1, 2019

ইর্ষা

কারো সফলতায় শুভকামনা জানানোর সময়
বুকের মাঝে যে চিনচিনে ব্যাথাটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে
তার নামই ইর্ষা।

ব্যর্থতায় ডুবে থাকা এক হতাশের কাছে এ সময়টা
খুব অশান্তির।
যে অশান্তিটা ঝড় তোলে মনের গভীরে।
যার ফল দেখা যায় চোখের কোনায় পড়িপড়ি করা জলের ফোঁটায়।