Friday, June 19, 2020

জয় কর্তার


এই বেটা গোলাম হোসেন,
চলে আয় তো এদিকে।
পানটা সাজা ভাল করে
কথা বলি এই ফাঁকে।

বলত বেটা গোলাম হোসেন
তোর বেতন কত আজ?
সবশেষে বাড়িয়ে ছিলাম কবে?
তখন ছিলোনা ব্রিটিশ রাজ?

ধুঁতির ছেড়া হাতে ঢেকে
উদোম গায়ে বসে নীচে
বানিয়ে পান, গোলাম গায়,
কর্তার দয়ায় আছি বেঁচে।

বুঝলি গোলাম চারদিকেতে
কমছে যে দাম তোর কাতারে।
দিই আমি বেশ জানিসই তো তুই
ভিড়লাম না আর ঐ সাঁতারে।

গোলাম হোসেন কাঁদিয়া বলে
জয় কর্তার মানবিকতার
বেঁচে আছি আপনার দয়ায়
মাংস শুকিয়ে টিকেছে হাঁড়।

মনটা বিশাল আকাশ সমান।
জানি আমি মন আপনার
ভাত জোটেনা, মুড়ি খাই,
কমলে বেতন তাও জোটেনা আর!

বাঁচুন আপনি, বাঁচুক তাঁরা,
আমাদের জীবন তো উপাচার।
বেঁচে আছি আজও, নিচ্ছি শ্বাস,
জয় জয় জয়, জয় কর্তার।

Saturday, June 13, 2020

অসময়

দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের সারি
বাতাসে মিশে আছে অদৃশ্য শত্রু।
বৃষ্টির ছাটে মুছে যাচ্ছে শুকিয়ে যাওয়া কান্নার দাগ,
হুইলচেয়ারে স্তব্ধ- নিশ্চল অতীত,
হাতের শাঁখার সাথে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো
ছড়িয়ে পড়ছে শ্মশানের মেঝেতে।
গোরখোদকেরা খুঁড়ে যাচ্ছে গোর অবিরাম,
তারা নিশ্চিত, পথেই আছে নতুন সব অতিথিরা।

সময়টা বড্ড অনিশ্চিত,
আজ চ্যাটার্জী সেজে ঘৃণা উসকে দেয়া হোসেনও হয়ত
কাল থাকবে চলে যাওয়ার তালিকায়
অন্য কোন রাষ্ট্রে, অন্য কোন ভাষায়।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপের সমষ্টিতে গড়ে উঠেছে বিশাল জাল,
প্রকৃতি কিছুই ভোলেনা,
প্রকৃতি ক্ষমা করেনা।

Saturday, June 6, 2020

অস্তিত্ব




নির্বাক কোলাহলময় শহরে, থেমে থেমে চলে জীবনের স্পন্দন।
বিবর্তনের আরেক বিন্দুর মুখে দাঁড়িয়ে চলছে
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এক ভীষন লড়াই।

সুর্যের তেজ নিভু নিভু প্রায়, তবুও আলোর খোঁজে জ্বলে নিয়ন বাতি।
সামনে তমসাচ্ছন্ন, ক্লান্তিকর অবসাদময় দীর্ঘ সময়,
পথের খোঁজে, পথে পথে হেঁটে বেড়াই।