Friday, December 20, 2013

ভালবাসি

আমি নিজেকে ভালবাসি অনেক সত্যই,
অনেকটা স্বার্থপরের মত
তবে নিজের চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসি তোমায়,
পুরোটা নিঃস্বার্থ।

কেন ভালবাসি তোমায় যদি জানতে চাও
উত্তর নেই প্রস্তুত দেবার জন্য।
তবে বলব দৃঢ়তার সাথে ভালবাসা আমার যেন
ভীষণ অরণ্য।

যত বেশি অগ্রসর হবে এই মনের মাঝে
ভালবাসায় পাবে গভীরতা
সত্যই নেই আমার ভালবাসায় খেদ কোন, নেই
অযাচিত কপটতা।



Monday, December 9, 2013

দর্দ

হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা আমার,
শুধু তোমারই জন্য ও প্রিয়া সত্যই
ওই মায়াবী চোখ দুটো রয়েছে তোমার,
যার পানে চেয়ে থাকি যে আমি নিত্যই।

আমি পাইনা যে পথ খুঁজে পালাবার।
প্রিয়া ভাল যে বেসেছি তোমায় বহু।
দর্দ শুধু যে তোমায় কভু না পাবার
নৃত্যরত দেবল শিবন্যায় উদ্বাহু।

এতকাল ছিলাম দূরে দূরে, যাইনি-
কাছে তোমার ভয় ছিল ভালবাসার।
সঞ্চয় করে সাহস, গেলাম সমাপ্তে।
কাছে গিয়েছি, স্পর্শ পেয়েছি অতুলনী!
খতমতাক পাইনি হৃদয় তোমার,

বেএক্তেয়ার আমি, চুপে দর্দ হৃদেতে।  

Sunday, December 1, 2013

দুঃখ হয়

দুঃখ হয় যখন কেউ অস্বীকার করে তার অস্তিত্বকে।
কেমন লাগে যখন ঈশপের গল্পে দেখ
সাপ ছোবল দিচ্ছে তাকেই বাঁচানো কৃষকের বুকে।

দুঃখ হয় যখন মানুষের মাঝে দেখি সেই সাপটাকে।
ঘৃণা করি, নির্লজ্জের মত নর পুড়িয়ে উল্লাসের
সময় তার চোখের নাচন, তার লালচে ডাইনী মুখটাকে।

দুঃখ হয় আরও যখন দেখি নিজকে শিক্ষিত দাবিদার,
কিছু কুলাঙ্গার দাবী করে ডাইনীকে পরী।
ঘৃণা করি এসব জ্ঞ্যানপাপীদের, তোদের জন্যই নরকদ্বার।

Thursday, November 28, 2013

নতুন সুর্য

জানিনা কাল সকালের সুর্য
আমার জন্য কি বার্তা আনবে।
জানিনা সে কি হবে কিছু পাবার বা কিছু হারাবার।
জানি এটাই, কিচ্ছু বদলাবেনা আমার।
যেমন বদলাইনি তোমার সৃষ্ট গজবে।

রাতের আকাশে যখন চাঁদ থাকেনা,
আকাশটাকে কি মনে হয়না বড়ই একা?
দুর্বিষহ আঁধারে পতিত এক নিঃসঙ্গের প্রতিচ্ছবি।
এমনটাই তো চেয়েছিলে তুমি, জানি সবই।
শেষ হয়নি কিছুই আমার পেয়েছি শুরুর দেখা।


Monday, November 25, 2013

তোমার চুলের ক্লিপ ৪

অবশেষে সাধনা পুর্ন হল আজ,
অনেক খুঁজে খুঁজে তোমায় আজ পেয়েছি।
আমার সামনের টেবিলেই কফির কাপে
ঠোঁটের আলতো ছোঁয়া দিচ্ছ তুমি।
মাঝে মাঝে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছ আমার দিকে।

তোমার টেবিলে গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম।
তোমার চোখে উৎসুক ভাব।
আমি কোন ভনিতা না করে তোমার চুলের ক্লিপটাকে
তোমার সামনে বাড়িয়ে বললাম,
‘চিনতে কি পারছ একে?’

তোমার চুলের ক্লিপ দেখে চিনতে পেরেছ তুমি,
ইশারায় কি যেন বললে যার বিন্দুমাত্র বুঝলাম না।
তোমার বান্ধবী পাশে এসে বসল তোমার।
আমায় জিজ্ঞাসা করল চিনি কিনা তোমাদের।
অল্প কথায় বললাম ফেরত দেবার জন্য খুঁজছি তোমাকে।

জিজ্ঞাসা করলাম তোমায় খুশি হয়েছ কিনা?
ঘাড় নাড়িয়ে হ্যা সুচক জবাব দিলে তুমি।
তোমার কাছ থেকে শুনতে মন চাচ্ছিল খুব।
তাই বললাম, ‘কিছু তো বল আমায়’
কষ্ট ভরা চোখে তুমি দেখলে আমাকে।

তোমার বান্ধবী জানাল তুমি মূক,
পারনা কিছু বলতে মনের ভাব প্রকাশের জন্য।
জানলাম, বুঝলাম। তুমি মূক তাতে কি?
ভাল তো বেসেছি তোমায়, একবার দেখেই।
কি যায় আসে নির্বাকে বা সবাকে।

বললাম তোমায় ভালবেসে ফেলেছি একনজরেই
প্রথম দেখাতেই, খুঁজে চলেছি তোমায়
সাথে নিয়ে তোমার চুলের ক্লিপ।
লাজুক নয়নে তাকালে আমার পানে।
বুঝলাম তুমিও ভালবেসে ফেলেছ আমাকে!!!!



Thursday, November 7, 2013

তোমার চুলের ক্লিপ ৩

ভরে থাকা বাসে কোনরকমে ঝুলে ছিলাম
গেটের হাতল ধরে।
হাতে ধরা ছিল পাঁচ টাকা দামের গোল্ডলীফ সিগারেট।
দিনটা খুব একটা খারাপ ছিলনা।
ঘামছিলাম দরদর করে, কাজ শেষে ফিরছিলাম,
মুখে ছিল সফলতার হাসি, আর ক্লান্তির ছাপ।
তবে বাসে ঝুলে থাকা তো নাগরিক কাজ এই ঢাকায়।

পাশ দিয়ে একটা প্রাইভেট কার চলে গেল
সেকেন্ডের ভগ্নাংশে আবার তোমায় দেখলাম এক নজর।
অপরুপ ওই মুখটা আবার ছুঁয়ে গেল মনের মাঝে।
হাতল ছেড়ে নেমে গেলাম বাস থেকে...
দৌড়ে চললাম তোমার গাড়ির পিছু পিছু।
নাহ, অল্পের জন্য তোমার কাছে পৌছতে পারিনি,
এই শহরের পাকা পথে কি দৌড়ে ছুটন্ত গাড়ি ধরা যায়?

পকেটে তখনো রয়েছে তোমার চুলের ক্লিপ,
এক মুহূর্তের জন্যেও হাতছারা করিনি এটা।
অবিচ্ছেদ্য অংশই হয়ে আছে এটা আমার জীবনের।
আরেকবার পকেট থেকে বের করে দেখলাম ক্লিপটাকে,
তোমার হয়েই তো ক্রিয়া চালাচ্ছে এটা আমার মনে।
ওটাই তো আবার আশা দিল,
সামনে আবারও দেখা হবে, কথা হবে দুজনায়।


Saturday, November 2, 2013

তোমার চুলের ক্লিপ ২

খুঁজে চলেছি তোমায়,
ঢাকার রাজপথে, এ গলি থেকে ও গলি।
সেই চায়ের দোকানে এখন আমার নিয়মিত যাত্রা।
দোকানি এখন আর হয়না বিরক্ত,
বরং আমার খোঁজে দেয় নতুন মাত্রা।

পকেটে এখনও আমার, তোমার সেই চুলের ক্লিপ,
যা তোমার সন্ধ্যার পশ্চিমাকাশে জমা হওয়া মেঘের
মত চুল থেকে খুলে পড়ে লুটিয়েছিল ধুলায়।
তা এখনও দিয়ে যাচ্ছে তোমার আবেশ,
রেখেছে তোমায় বন্দী করে হৃদয়ের কোনায়।

আর কত করব অপেক্ষা?
সামনে এসে দাড়াওনা একবার, একটু হেসে।
দেখি আরেকবার তোমায়, প্রেমে পড়ি ফের।
হাতে হাতটা রাখব ক্লিপটা ফেরত দিয়ে,

করে নেব পূর্ণ অংশ তোমায় আমার জীবনের। 

Thursday, October 31, 2013

তোমার চুলের ক্লিপ

চারপাশে কোলাহল,
ব্যাস্ত রাস্তা, ব্যাস্ত সবাই, চলে যাচ্ছে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে।
আমি একা দাঁড়িয়ে এক চায়ের দোকানে,
আলসে আমায় দেখে বিরক্ত দোকানীর তাড়ার ছল।
আমার মত আরেকজন আছে রাস্তার ওপারে...
সে তুমি।
বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে আছ গাছের সবুজের দিকে।
আর আমি অপলকে তাকিয়ে আছি তোমার দিকে।
হঠাত ছন্দপতন...
এক ভিক্ষুকের আগমন।
দায়সারা ভাবে পকেটে থাকা ছেঁড়া দুই টাকার নোট
যেন আকুলি বিকুলি করছিল মুক্তির আশায়।
তাকে মুক্তি দিয়েই দিলাম তোমাকে দেখার জন্যে।
কিন্তু একি!
কোথায় হারালে তুমি?
স্তত পার হয়ে চলে গেলাম রাস্তার ওপারে,
খুজলাম তোমায় হয়ে হন্যে।
চোখে পড়ল তোমার চুলের ক্লিপ গড়াচ্ছে ধুলায়।
তুলে নিলাম তা...
পরবর্তীতে দেখা হলে কথা বলার সুযোগ হবে সেই আশায়।

Monday, October 28, 2013

এলোমেলো ভাবনা



মেয়ে, আমায় তো করেছ পাগল তোমার ওই হাসিতে।
বাধ্য করেছ আমায়, তোমার মাঝে যেতে হারিয়ে।
আর হেসোনা আমার সামনে, ও মানসী,
ওই হাসি যে আমার হৃদয় কে ছেদ করে যায়।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থমকে যায় আমার সময়।
যদিও সময় আর নদি বহমান।
তোমার মাঝে আছে কি যাদু?- সত্যি করে বল।
কেন তোমার মাঝে আমার দিন চলে যায়।

হয়তো এই ভাবনা শুরু হয়েছে আরও আগেই,
যখন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এই ধরনীতে আসার জন্য।
যদি তা না হয়, তবে বল কেন এই ভাবনা
উকি দেবে এ মনের মাঝে হঠাৎ করে?
অপেক্ষা শুধু তোমার একটি জবাবের।
এরপর আরম্ভ হবে সুখের নীড় গড়া, শুধু তোমার আমার।
দুজনার প্রেমের সৃষ্টি যেমন অনেক আগেই
তেমনি থাকবে বহমান ভালবাসা মৃত্যুর পরে।


Saturday, October 26, 2013

উত্তর

হারানোর আর ভয় কি?
হারিয়েছিই তো সবচেয়ে দামী মানুষটাকে।
যে কখনও ছিলনা আমার।
‘তবে কেন এতো দুঃখ এ হৃদয়ে?’
জিজ্ঞাসে জনে জনে।

‘আশিকের হৃদয় চৌচির
তখনই হয় যখন ছাড়তে হয় ভালবাসাকে।
যাকে হয়নি কখনও বলা।
হয়নি কখনও ধরা জড়ায়ে’।
হেসে বলি সন্তর্পণে।


প্রশ্ন

শেষ পর্যন্ত আমায় এভাবেই ডোবালে?

কি ভাব তুমি,
তোমায় ছাড়া আর কেউ নেই পুরো দেশে আমার জন্য?
তুমি দেবী নও...
তোমার মাঝে দেবীত্বের কোন গুন নেই, 
শুধু ওই সুন্দর মুখশ্রী ছাড়া।

তোমায় যদি ভালবেসেই ফেলি তা আমার মহত্ত্ব।
তাতে তোমার নেই হাত কোন। 
তবে দায় তো এড়াতে পারনা এর...
তোমার কিছু কিছু আচরনে ভালবেসেছিলেম তোমায়।
যখন জানলে তখন কি সুন্দর বুঝিয়ে দিলে 
সব ছিল বন্ধুত্ব!!!

আসলেই নারী এক আজব জাত...
বুঝতে পারিনি আগে।
আর যখন বুঝতে পারলাম 
তখন আমি সব হারানো এক বিশ্বাসঘাতক।
নিজের কাছে নয়।
তোমার কাছে, কেন তাই আমার জিজ্ঞাসা।

Friday, October 25, 2013

ভালবাসি তারে

আমার ভালবাসা

ভালবাসা
চার অক্ষরের একটা শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তি,
মনে হয় বোধশক্তি দ্বারা পরিমাপের বাইরে।
ভালবাসা,
শব্দটা বলতে সেকেন্ডের কম সময় লাগলেও
এর মায়া মেখে থাকে সারা জীবনের সফরে।

পৃথিবীতে হয়তো পাওয়া যাবেনা
 কাউকে এমন, যে পায়নি কষ্ট ভালবাসি।
কারো ভালবাসা অর্থ, কারো ঈশ্বর,
কারোবা প্রকৃতি, কারো মৃত্তিকায় গড়া মানসী।

আমি শেষোক্ত দলে-
ভালবেসে ফেলেছি এক মানবীকে।
যাকে আমি দেখি সরস্বতি রুপে,
মায়াবী মুখশ্রী, চতুর্ভুজার ন্যায় সর্বকর্মপটিয়সি মানবী।
রহস্যময়ী, যার চোখের জলে রহস্যের আভা পেয়েছি,
মজে আছি সমাধানের নেশায় সেই রহস্যের।
যার গোলাপ রাঙ্গা চিকন ঠোঁটের হাসিতে
আমি মরি, আমি বাঁচি, আমি ভাসি, আমি ডুবি। 


Friday, October 4, 2013

বন্ধু পুরান

কবি শাকিল, সাইফ, রাব্বি, শিশির, পারভেজ, আলামীন, চয়ন, নয়ন আর আমি মিলে একটা গ্রুপ ছিল। একাডেমিক কারনে নয়। শুধু বন্ধুত্ব আর দুশটামীর খাতিরে। জে এল এফ। এই গ্রুপের সদস্য গন একটা সিক্রেট মেনে চলত। আজও যা সিক্রেট। অনেক মজা করেছি এই গ্রুপের সবাই। আমার ছ্যাকা খাওয়ার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা ছ্যাকা দিবস আয়োজন করেছিলাম। কি মজাই না হয়েছিল সেদিন।

 
ছ্যাকা দিবসের কতিপয় ছ্যাকা খাওয়া পাবলিক। (আজম, শাওন, চয়ন, আলামীন, আর বসে আছে রাব্বি)
ইফতার পার্টি করেছিলাম ২০১১, ২০১২ টানা দুই বছর। প্রথমবার পুরনো বিজনেস স্টাডিজ ভবনের ছাদে। আর প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় দল বেধে ঘুরতে যাওয়া তো আমাদের একটা অঘোষিত নিয়মে দাড়িয়েছে।

পহেলা বৈশাখে আমরা ক’জনা।
ফরহাদ, মিতুল, শাকিল (সেক এ), মনির, সুমনদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মিরপুর ছেড়ে যাত্রাবাড়ী আসার পর থেকে। ফরহাদ আর আমি তো একই বাসায় থাকি। এই ট্যুর পাগলা গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার পর দুই জায়গায় চরম দুই ট্যুর মেরেছি... প্রথমবার নেত্রকোনার বিরিশিরি, পরেরবার সিলেট-আওলিয়ার দেশে। এরা তো মনের একটা ফ্ল্যাটে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। বলতে গেলে বেঁচে আছি এদের জন্যই। আবার কিছু কষ্টের স্মৃতিও আছে এদের নিয়ে। বিরিশিরি ট্যুরে গিয়ে বোধ হয় আমাদের মধ্যকার বন্ধন গাঁঢ় করার জন্য সিমেন্ট দেয়া হয়েছিল। আর সিলেট ট্যুরে গিয়ে সেই বন্ধন আরও শক্ত হয়েছিল।
বিরিশিরি ট্যুরের লাইন আপঃ রবিন আর রবিনের মামা (ক্যাম্পাসের বাইরের বন্ধু), সাইফ, শাকিল, ফাতিন, রাজিব (একাউন্টিং), মিতুল, শাকিল (কবি), মনির, আলাউদ্দীন, ফরহাদ, আমি আর ড্রাইভার। ছবিটা তুলেছিল রাব্বি খান। তাই সে ফ্রেমের বাইরে।

সিলেট ট্যুরের লাইন আপঃ দাড়িয়ে- ফরহাদ, রুমেল(আমার রুমমেট), সুমন,  শাকিল(কবি), মনির, আমি, শাকিল। বসে- আকাশ (সুমনের ভাই), অনি, অনিক, নুরু। ছবি তুলেছিল মিতুল।

সিলেটে অনেক ঘুরেছিলাম আমরা। এই ছবিটা লাউয়াছড়ার। রাতারগুলের মধ্যে সবাই আলাদা আলাদা নৌকায় ছিলাম তাই গ্রুপ ছবি এলনা। দোস্তরা মাইন্ড খাইসনা।

Thursday, October 3, 2013

নারীর মন

নারীর মন

বুঝিনা নারীর মন,
বলে বন্ধু ভাবিনা তোমায়...
তবু আড় চোখে তাকায় যখন তখন।
তাকানোতে দোষ নেই কিছু,
তবু কেন ঘৃণা আমায়...?

যখন হেটে চল আমার পিছু পিছু। 

Friday, September 20, 2013

মিথ্যা

তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে করা
কোন প্রতিজ্ঞা কখনও ভঙ্গ করিনি...
মিথ্যা বলেছি একটু।
একটি প্রতিজ্ঞাই শুধু রাখিনি।
তা ছিল,
তোমায় কখনও ছাড়বনা বলেছিলাম আমি।

তোমার সুখের কথা ভেবে কখনও
নিজের ছোট হওয়াকে মুল্য দিইনি...
মিথ্যা বলেছি একটু।
একবারই শুধু সহ্য করিনি।
তখনই,
যখন তোমাকে ভালবেসে বন্ধুত্বটুকুও পাইনি।

তোমার হাসি থাকুক বজায় এজন্য
নিজেকে বদলাতেও দ্বিধা করিনি...
সত্যই বলছি সবই।
একদম বদলে গেছি আমি।
সম্পূর্ণ,

বদলে গেছি সম্পূর্ণ, নিজেও যা ভাবিনি।

Saturday, September 14, 2013

রহস্য



নারী বড় রহস্যময়ী।
যেন রহস্যের এক খোলা বই,
যে বইয়ের নেই কোন প্রারম্ভিকা
নেই কোন সমাপ্তি।

কখনও মনে হয় মায়ার বাঁধনে
এই বই হয় রপ্ত।
কখনও মায়ায় বই হয় অনুক্ত।
তবে কিসে হয় ভাব প্রাপ্তি?

কখনও অর্চনা, কখনও বঞ্চনা
কখনও মনোযোগ, কখনও অনুযোগ...
কখন যে কি আসে এ বইয়ে
বুঝিনা!!! এ যেন মন্ত্রগুপ্তি।


Thursday, September 12, 2013

ট্যুর ডি সিলেট

সিলেট ট্যুরের আগে কত অনিশ্চয়তা ছিল!!! যাওয়া হয় কি হয় না। শেষ পর্যন্ত ফরহাদ সরকারের ৭ ঘণ্টা টানা যুদ্ধের কারনে একটা মাইক্রো বাস ভাড়া করা গেল। ১২ জন আগেই ঠিক করা ছিলাম। লাইন আপঃ শাওন, ফরহাদ, মিতুল, কবি শাকিল, মনির, অনি, সুমন, রোমেল, শাকিল, অনিক, নুরু,এবং আকাশ। আগের রাতে আমার বাসায় অনি এসে ছিল। আগের সন্ধ্যায় ফরহাদের বড় ভাই ১৫ খানা সাদা গেঞ্জি দিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের যা ছিল ট্যুর এর স্পেশাল। ৩০ অগস্ট সকাল বেলা দোলাইপার এবং ততসংলগ্ন এলাকার বাচ্চারা সবাই দোলাইপাড় বাস স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ড আপ করলাম যে ছবিখানা ইতিমধ্যে ফেসবুকেরওয়াল আলোকিত করেছে…
সকাল ৬ টায় যখন মাইক্রবাস এল বাচ্চারা সবাই হাঁসের বাচ্চার মত কলকল করে উঠে পড়ল মাইক্রবাসে। তবে বাসে উঠে সবাই একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হল আজ কারো কারো মাঞ্জায় কিঞ্চিত ব্যাথা পাইবার সমুহ সম্ভাবনা আছে। দোলাইরপার হতে রওনা আরম্ভ করতে করতেই আরও ১৫ মিনিটের মত লাগলো। মিতুল, নুরী আল মালিকি আর অনিক খান কে তুললাম মতিঝীল আর এর আশে পাশের অঞ্চল থেকে। বাসের মধ্যে দুর্দান্ত মজা করছিলাম। ছেলেরা আজ পর্যন্ত যে সব নারীর সাথে মিশেছে তাদের নাম নিয়ে সমানে স্লোগান হচ্ছিল। সবারটা মোটামুটি সত্যই বলা যায় শুধু আমার সাথে যার নাম উচ্চারন হচ্ছিল তা ফ্লো তে এসে যাচ্ছিল তাতে সত্যতার লেশমাত্র ছিলনা। তবু এঞ্জয় করছিলাম ব্যাপারটা। তাও তো আমার নাম আসছে(!) ড্রাইভার প্রথমেই একটা চমক দিলেন হাতিরঝীলের রাস্তায় মিষ্টি বৃষ্টির মধ্যে জোরসে গাড়ি টানিয়া। বৃষ্টি আমাদের পিছনে লেগেছিল ঢাকায় থাকা অবস্থায়ই। সিলেট পৌঁছানর আগ পর্যন্ত আমাদের বৃষ্টির সাথে লুকোচুরি খেলে যেতে হয়েছে। হাউ রোমান্টিক। উত্তরা গিয়ে কবি শাকিলের বাসার সামনে থেকে কবি শাকিল কে রিসিভ করা হল। মনির উত্তরা বাস থামান মাত্র গাড়ি থেকে নেমে মুত্র বিসর্জনে যাওয়ায় কিঞ্চিত একটা সম্ভাবনা হয়েছিল যে বিরিশিরি ট্যুরে ফাতিনের পাওয়া নামটা বোধ হয় মনিরের নামের সাথে যুক্ত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত মুতিং অফিসার হিসেবে সে সুনাম অর্জন করে। উত্তরা থেকে আরম্ভ হল আমাদের ট্যুরের প্রধান যাত্রা। দুক্ষজনক হলেও সত্য প্রথমেই গাড়ির ফাঁকা সিটটা শাকিল মাহমুদের ভাগেই পড়েছিল। ড্রাইভার ফারুক ভাইও রসিক লোক অসাধারন মজা করেছেন আমাদের সাথে।

Wednesday, September 11, 2013

ইলেক্ট্রনিক্স আর আব্বাস

আব্বাসের ইলেক্ট্রনিক্সের পন্যভাগ্য খুব একটা সুবিধার না। টেলিভিশন থেকে শুরু করে মোটর সাইকেল যাই কিনুক না কেন পন্যে কোন না কোন অসুবিধা থাকবেই। তবে বাবার সিন্দুক আর ব্যাঙ্ক ভর্তি সাদা আর কালো দুই রকমের অঢেল টাকা থাকায় সে ইলেক্ট্রনিক্স পন্য কিনতে কখনও কসুর করেনা। এমনও দেখা গেছে সকালে আব্বাস একটা বাইক নিয়ে বাইরে বের হয়ে আরেকটা বাইক নিয়ে রাতে ঘরে ফিরেছে। অর্থাৎ, পুরনো বাইক বিক্রি করে তার সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করে নতুন বাইক। এবার একটু পেছনে ফিরে আব্বাসের ইতিহাস দেখি। অবশ্যই তা ইলেক্ট্রনিক্স পন্য সংক্রান্ত।
বাজারে প্রথম ক্যামেরা সহ হ্যান্ডসেট এসেছে। তখন স্কুলে পড়ে আব্বাসক্লাসের কারো কাছে তখন মোবাইল নেই শুধু মকবুল বাদে। মকবুলের বাবা আব্বাসের বাবার চাইতেও বড় ধড়িবাজ। টাকার কুমীর। তাই ছেলের অন্যায় আব্দারেও না করেননা। মকবুল যখন মোবাইল নিয়ে হাটে, তখন আব্বাসের ফাটে(!!)। আব্বাসের চিন্তাভাবনায় শুধু মকবুল কে পেছনে ফেলার চিন্তা। টাকার অভাব নেই দুইজনের ই। বন্ধুরা আব্বাস কে বুদ্ধি দিল ক্যামেরা ফোন কিনলে মকবুল কে টপকান যাবে।
যেই বুদ্ধি পেল আব্বাস, খিচ খেয়ে সে বাপের লুঙ্গির কোনা যে ধরল তা আর ছারলনা। তার এক দাবি, ‘মোরে ক্যামেরা মোবাইল কিন্ন্যা দাও’। আব্বাসের বাবাও শেষ মেশ বাধ্য হল মেনে নিতে কারন ছেলে যেভাবে লুঙ্গির কোনা ধরেছে তাতে লুঙ্গির কোঁচ যে কোন মুহূর্তে খুলে গিয়ে লজ্জাকর পরিস্থিতির অবতারনা হতে পারে। এমনিতেই আব্বাসের মা সারারাত ঘ্যান ঘ্যান করে ওই (!) জিনিসের ব্যাপারে। এবার সমাজের সামনে বের হয়ে পড়লে ইজ্জতের অবশিষ্ট কিছু থাকবেনা।
আব্বাসের হাতে হাজার সাতেক টাকা ধরিয়ে দিলেন হাসেম সাহেব। আব্বাস ও তার তিনরঙা জিন্সের প্যান্ট আর কটকটে হলুদ শার্ট গায়ে চাপিয়ে এবং মাথায় পোয়া খানেক শরিশার তেল মাখিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে চলল মোবাইল ফোন কিনতে। সঙ্গে ল্যাংটা কালের বন্ধু শাকিল। রাস্তায় যেতে যেতে দুই বন্ধু বিশাল আলাপচারিতা করল মোবাইল সম্পর্কে। কথা শুনে মনে হতে পারে তারা সেলুলার বিশেষজ্ঞ,
আব্বাসঃ বোজঝ মনু, মুই ইরাম মোবাইল কিনমু মকবুইল্যা টাস্কি খাঁইয়ে থাকবে তিনদিন। ওর গাল দিইয়ে আর কথা বাইরাবেনা।
শাকিলঃ হেইয়ে তো হইবেই। তুই মোর বন্ধু আর তোরে নি ওই মকবুইল্ল্যা হারায় দেবে। এইয়া হইতে পারে। চল আইজকে, ক্যামেরা মোবাইল দিইয়ে ওর চক্ষের সামনে ছবি তুলমু আর দাঁত ক্যালামু। হে হে হে।
কাঃ হেইয়ে যা কইছো শাকিল্যা। তুই মর ছবি তুলবা আর মুই তোর। আর মর মোবাইল দিইয়ে এতো জোরে জোরে কথা বাইরাইবে যে মকবুইল্ল্যা আঁক কইরা পইড়া থাকবে।
শাঃ হেইয়া তো হইবেই...
দুই বন্ধু মোবাইলের দোকানে পৌঁছে মোবাইল দেখে দেখে চমৎকৃত হয়ে গেল। মাত্র চার মডেলের হ্যান্ডসেট থেকে ভালটা বাছতেই দুজন ঘণ্টা পার করে দিল। যার দরুন দোকানদারও খিপ্ত হয়ে গেল তাদের উপর। অনেক বেছে একটা হ্যান্ডসেট কিনল সংযোগ সহ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায়। বাড়িতে ফেরার পথে দুই বন্ধুর দৌড় ঝাঁপ দেখে কে। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল দুজনার। তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল দুইজন। পরের দিন সকালের সুখস্বপ্নে বিভোর দুইজনে।
সকালে, ক্লাসে পকেট থেকে মোবাইল বের করা মাত্র হুড়োহুড়ি পড়ে গেল সবার মধ্যে। সবাই চারিদিকে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর মোবাইল দিয়ে ডাটছে আব্বাস কথা বলছে তার বড় ভাইয়ের সাথে যে ঢাকায় থাকে। মাঝে মাঝে সবার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে আব্বাসএকজন কে দেখে তার চেস্ট বিকেম ব্রেস্ট। লিমা, ক্লাসের সেরা সুন্দরী। আজ পর্যন্ত সেই শুধু লিমার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছে আর লিমা ভাব নিয়েছে। আজ লিমা দাড়িয়ে তাকে দেখছে একথা ভেবেই হয়তো তার বুকের সাইজ ময়ুরীর সাইজ কেও ছাড়িয়ে গেল। কথা এক সময় শেষ হল। লিমাকে একপাশে ডেকে নিয়ে গেল আব্বাসএরপর সবার উপরে চোখ বুলিয়ে ঘোষণার মত বলল,
‘মুই একখান ক্যামেরা মোবাইল কিঞ্ছি হেইয়া তো তোরা দেখছ। মুই এহনও কারো ছবি তুলিনাই। মুই প্রথম ছবি তুলমু লিমার। কারন মুই লিমারে ভাল পাই। ইয়েস আই ডু’।
এই ঘোষণা শুনে লিমার সাদা গাল একেবারে লাল হয়ে গেল। আব্বাস ছবি তুলার জন্য ক্যামেরা তার দিকে তাক করা মাত্র সে রমনীসুলভ ভাবে দাড়িয়ে গেল পোজ নিয়ে। অনেকক্ষণ সে দাঁড়িয়ে রইল ওইভাবে আর আব্বাস ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলতে লাগলো। একসময় লিমা কিঞ্চিত টেনশনে পড়ে গেল যখন দেখল আব্বাসের ভুরু কুঞ্চিত হয়ে আছে। লিমা জিজ্ঞাসা করল ‘কি হয়েছে?’। আব্বাস লিমার জবাব না দিয়ে জোরে বলে উঠল, ‘শাকিল্ল্যা রে, চুদানির পোলায় তো মোরে ঠকাইছে। মোর ক্যামেরায় তো ছবি ওঠেনা’। একথা বলে আব্বাস যে দরজা দিয়ে স্কুল ত্যাগ করল আর কোন দিন স্কুলে ফিরলনা।

ক্যামেরা ফোন আর ফেরত দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে সে আরেকটা ক্যামেরা ফোন কিনল তবে ততদিনে লিমা মকবুলের ক্যামেরা আর মনের ফ্রেমে আটকে গেছে।