রাস্তায় চলছিলাম একা
একা।
আশেপাশে অনেকেই চলছিল,
সবার যাত্রা ছিল
ত্রস্ত-ব্যাস্ত।
আমিই ছিলাম সবার চেয়ে
ব্যাতিক্রম।
আড় চোখে অনেকেই আমায়
দেখছিল, মজা নিচ্ছিল আমায় দেখে।
হয়ত মনে মনে ভাবছিল,
এই সঙটা উঠে এসেছে কোন
যুগ থেকে?
ওরা তো জানেনা,
আমি ১৮৫৭ তে মরেছিলাম
এই দেশেরই জন্য।
আমি ছিলাম নবাব, বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার
নবাব।
ইংরেজের হাতে
দিয়েছিলাম প্রাণ।
আজ আবার দেহধারী হয়ে
এসেছি এই বাংলায়।
না আসলেই ভাল হত হয়ত।
না আসলে অন্তত দেখতাম
না-
বাঙ্গালীর মুখে
ফিরিঙ্গির জবান।
আমি দেখতাম না-
আমার দেশের মৌলিকতার
অবস্থা
আমার জীর্ণ পোশাকের
চেয়েও জীর্ণ।