নিস্তব্ধ রাত্রিতে মাথার উপর খোলা আকাশ,
হিম হিম শীতে কুয়াশায় মোড়া
কালো ক্যানভাসে
পিট পিট করে জ্বলতে থাকা তারার হাট।
একফালি চাঁদ উঁকি মেরে আছে আকাশের এক কোনে।
পিচঢালা রাজপথের পাশে কেউ হয়ত
জ্বালিয়েছিলো আগুন।
কুন্ডলী পাকিয়ে তার পাশে শুয়ে
উষ্ণ নিদ্রায় মগ্ন কিছু ছাইমাখা সারমেয়।
ঝাঁপি দেয়া চায়ের দোকানের সামনে বেন্ঞ্চে
বসে ঝিমুচ্ছে রক্ষী।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে জ্বালানো আলোগুলো
জাগিয়ে রেখেছে শহরটাকে।
ইট সিমেন্টের দালানের ফাঁক গলে
এখনও ঘুরে বেড়ায় সোঁদা মাটির গন্ধ।
দূরে ডাকা শেয়ালের ডাক আর ঝিঁঝিঁ পোকার গানে
ফিরে আসে হাজার বছরের রাতের স্বরুপ।
বিষন্নতা বুকে নিয়ে
জেগে থাকে কিছু পরাজিত ঊন-মানব।
দেখে যায় মহাকালের সচল চিত্র,
একা।
গুহাচারী জীবনের ব্যাটন বয়ে নিয়ে বেড়ায় আঁধারে।
আলোয় যে চোখ ধাঁধিয়ে যায়!
তেইশে মাঘ, ১৪২৮
খুলনা