Thursday, February 19, 2015

দেবী

ভাবতাম দেবীরা সবাই বুঝি গ্রীসেই থাকে,
তোমায় ভালভাবে দেখে বুঝলাম
আমার সে ভাবনাটা ভুল।

আমি কোন ভাস্কর নই যে তোমার পবিত্র দেহের
কোন ভাস্কর্য পাথরে ফুটিয়ে তুলব।
আমার মাঝে কাব্যিকতাও নেই যা লিখে
তোমার রূপকে নশ্বর করে তুলব।
তবে হ্যাঁ, ওই মায়াবী দুটো চোখের ইশারায়
আমি প্রেমিক হয়ে গেছি।

এক বোতল ভদকা এক চুমুকে শেষ করলে
যতটুকু না মাতাল হই আমি
তার চেয়ে বেশিই হই নিজের চোখ বেঁধে
তোমার চোখকে কল্পনা করে।

জানিনা কেন যেন তোমার মেঘকালো কেশরাজিকে
আমার আকাশের মেঘ মনে হয়।
সেই মেঘস্রিষ্ট বৃষ্টিতে সিক্ত হতে মন চায়
যদিও আকাশের অবস্থান নিজের মনেই
তবু বৃষ্টিটা কেন যেন হয়না।
আমার সব ক্ষমতা হারিয়ে গেছে
তোমার দেবীত্বের কাছে।
আমি সমর্পন করে বসে আছি আমার রাজত্ব।

কেন যেন মৌমাছি হয়ে যেতে ইচ্ছে করে!
বোঝ তবে, অজান্তে কতখানি জাদুই না করেছ আমায়!
দেবী হয়েছ বলেই কি তবে পৃথিবীর সমস্ত মৌচাক
নিজের ঠোঁটে স্থাপিত করেছ?
এখন সেই মধু আহরনে আমায় মৌমাছি তো হতেই হয়।

মাঝে মাঝে বাতাস হতেও ইচ্ছে হয়।
যদি হতাম তবে অন্তত দেবীর নিঃশ্বাসে
মিশে থাকতে পারতাম।
মাঝে মাঝে দমকা এসে তার বুকের ওড়না
নিয়ে উড়ে যেতাম, খেলতাম তার সাথে।
তার এলো চুলে পরশ বুলিয়ে দিতে পারতাম-
তোমার স্পর্শে ধন্য করে নিতাম নিজেকে।
তোমাকে মানবীতে রুপান্তর করতাম
দেবীত্বের দেয়াল চুর্ণ করে
পরম প্রেমস্পর্শে।