Thursday, December 18, 2014

জীবনসঙ্গী

কেউ যখন প্রশ্ন করে কেমন জীবনসঙ্গী চাই তোমার,
ধন্দে পড়ে যাই আমি।
আসলেই তো কেমন সঙ্গী চাই এ জীবনে?

উত্তর খুঁজলাম নিজের মাঝেই হাজারো বিশ্লেষণ করে।
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম কোন ব্যাপারটাকে বেশি গুরুত্ব দেব,
শারীরিক না মানসিক?
উত্তর দিল হৃদয়, 'শারীরিক সন্তৃপ্তি দেয় মানসিক প্রশান্তি।'
তবে আমার দুই-ই চাই?

তাহলে দেখতে কেমন হওয়া উচিত আমার সেই সঙ্গীর?
উত্তর দিল হৃদয়,
"স্বপ্নবোনা যার চোখের তারায়, ঠোঁটে সারাখ'ন মিষ্টি হাসি।
একনজরই যথেষ্ট পড়তে মায়ায়, বলতে- 'ভালবাসি'।"

এছাড়া আর কি চাই আমার? ভাবতে আরম্ভ করলাম,

উত্তর দিল হৃদয়, 'তার হতে হবে এমন একজন
যার হাত ধরে হাজার বছর কাটিয়ে দিলেও ফুরাবেনা চাওয়া।'

আর কেমন হওয়া উচিত হবে তার?

এবারে আর হৃদয় নয়, মস্তিষ্ক জানালো
'যে বুঝবে আমায়, যার প্রতি চুম্বনে কাটবে আমার শত পাপ,
যার আলিঙ্গনে শুদ্ধ হব যীশুর মত,
যে আগলে রাখতে জানে নিজের সতীত্ব।
যে বিশ্বাস রাখতে জানে বুকের গভীরে,
যে ভালবাসতে জানে আপনজনে, যার মাঝে আছে ক্ষমতা
করতে আমায় নিয়ন্ত্রন।

Monday, December 8, 2014

সনেট লেখার অপচেষ্টা

বছর ছয় আগে মিলেছিলাম সব
ভর্তিরযুদ্ধ শেষে, বিজয়ী যোদ্ধা বেশে।
ছিল এতদিন আমাদের কলরব
ছিলাম আনন্দিত, বন্ধুত্বের আবেশে।

চোখ বন্ধ করে দেখি শুরুর সেদিন
আজ সব উপনীত শেষের দুয়ারে।
অবারিত মনের দুয়ার বন্ধুবিন-
জানিনা নয়া জীবনে টিকব কি করে!

প্রার্থনা সব সেই মহাপ্রভুর কাছে
যিনি মিলিয়েছিল সব অঙ্গুলী দ্বারা।
ভাল থাকুক সব বন্ধুরা আমাদের।
জানি আবেগ- ভালবাসা সবই মিছে
বাস্তবের কাছে হবে সবই গো-হারা।
তবু বিচ্ছেদ অনুভব করছি ঢের।


Tuesday, December 2, 2014

অপলা

অপলা,
দৃষ্টিসীমানা জুড়ে
তোমার দেহপল্লব, শ্রাবনের মেঘের মত কেশরাজি,
তোমার অনন্তযৌবনা মায়াবী চোখ আর তার রহস্যময়তা।
অজানা এক শিহরন জাগে তোমার হাসিতে।
প্রতিটা রোমকূপ আমায় জানান দেয় তুমি হাসছ!

অপলা,
মায়াবী ঘাতিকা আমার!
একবার তোমার উর্বরা শস্যক্ষেত্রে
আমায় প্রবেশ তো করতে দাও। আমি কৃষক হব...

Thursday, October 30, 2014

হারানো-মনন কাব্য

 শেষ বৈকেলের আলোকরশ্মিতে
জ্বোজুল্যমান দুর্ব্বার উপরে লাগিয়া থাকা
ছোট তারার ন্যায় শিশিরের কাছে মন করেছি সমর্পন।

শীতের এই বৈকালে
নিদ্রাহীন এক পক্ষকাল শেষে
দুর্ব্বার নিকট মন হারাইবার কোন সুনিশ্চিত কারন
থাকিবার কোন কারন রহিয়াছে বলিয়া আমি মনে করিনা!
তবু হৃদয় পারিনি করিতে নিয়ন্ত্রন।

ইহার ন্যায় বহু কর্ম্মই করিয়াছি
অতীত জীবনে। অদ্য ফিরিয়া তাকাইলে
আপনাকে মনে হয় চিনিতে পারিনা, অপরিচিত লাগে!
স্বর্গ-মর্ত্য-ভ্যুলোক ব্যাপিয়া পরমেশ্বরের অসীম কীর্তি দেখিয়া
সংযত করিতেছি নিজেকে, খুঁজিয়াছি উত্তর বহুজনার কাছে।
অর্বাচীন, বৃদ্ধ বা উচ্ছল বালক বাদ দিয়াছি কাহাকে?
শেষে উত্তর দিয়াছে আমার মনন।

তদুপরি কেন এই দুর্মুল্যের মনন হারাইলাম
এক সামান্য দুর্ব্বার উপরে লাগিয়া থাকা শিশিরবিন্দুর কাছে?
হায়! যদি নিজেকে প্রবোধ দিতে পারিতাম
আমি বোকা নই বা আমার ন্যুনতম স্বাভাবিক জ্ঞ্যান বিদ্যমান।
যদি করিতে পারিতাম প্রমান
যাহা করিয়াছি তাহাই শুদ্ধ।
সত্য বলিতে হৃদয় লুকাইয়াছি তাহার কাছে,
যাতে সে না দিতে পারে বাঁধা, সকলের জন্য
এক গুবরেকে যে করিতে হইতে পারে পুনশ্চ আপন!