Thursday, April 15, 2021

সন্ধ্যা


এম্বুলেন্সের কর্কশ সাইরেনের শব্দ যখন শুনি
মনটা কেমন বিষাদে ভরে ওঠে। 

চারিদিকে কোলাহলের মাঝেও এক অযাচিত নিঃশব্দতা,
হাস্যোজ্বল যুবকের মুখের উপর এক কালো ছায়া। 
সদ্য স্বামীহারা বৌদি সন্তানকে নিয়ে ফিরছে বাবার বাড়ি,
এবার আর হাসিমুখে নয়। 

পরের ঘরে খেয়ে মেতে ওঠা ঘ্যোতঘ্যোত করা শুয়োরের
লেবাস পকেটে হেক্সিসলের বোতল। 

মৃত্যু পরম সত্য,
এর চেয়ে বড় সত্য নাই,
তারপরও ভীষণ আতঙ্কের চাদরে ঢাকা চারিদিকে। 

লাশের মিছিল শুরু হওয়ার আগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে,
সন্ধ্যার আবছা আঁধারটা আর রোমান্টিক লাগছেনা। 
শিরদাঁড়ায় বয়ে যাচ্ছে ভয়ের স্রোত।

শত বছর আগে আমার পূর্বপুরুষেরও কী এমন ‌হত? 

Wednesday, April 7, 2021

ইতিহাস


অস্পষ্ট শব্দগুলো থেকে তৈরি হয় 
অগ্নিঝরা সব বাক্যাংশ।
রক্তে আগুন ধরানো বাক্যেরা জোড়া লেগে
সৃষ্টি করে সব কালজয়ী ভাষা-
আর,
জমাট বাঁধা রক্তে তৈরি হয় ইতিহাস। 

ছেঁড়া ছবিগুলো জোঁড়া লাগিয়ে
যে ক্যানভাস হয় তার অর্থ পরিষ্কার।
আমরা ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি,
যে ইতিহাস বদলাতে না পারার কারনে
ঘৃনিত হবো উত্তরপুরুষের কাছে। 

একদল উনমানুষের প্রাচীন খুলিতে 
মস্তিষ্ক বর্গা দেবার খেসারত দিতে হবে
যতদিন না আলোর দিশারীরা সংখ্যাধিক্য হয়।

সে দিন কী আর আসবে! 

Wednesday, February 24, 2021

বিলীন

নিসর্গের মাঝে চলতে চলতে
অপরুপ এক দির্ঘাঙ্গির দিকে হল দৃষ্টিপাত। 

ঠিক সে মুহূর্তেই-
থমকে গেল পৃথিবী,
বন্ধ হয়ে গেল ঘূর্ণায়ন,
স্রোতেরা পরিনত হল সুনামিতে,
পবনদেব বসলেন ধ্যানে,
সূর্য স্থির হয়ে থেমে রইল আকাশের বুকে। 

সময় বলতে রইলো না আর কিছু,
একটা নির্দিষ্ট মুহূর্তে সব আটকে গ্যালো।
আর আমি;
তার মাঝে বিলীন হলাম। 

Friday, January 15, 2021

ঈশ্বরের আশীষ

মিথ্যের ইট পাথরে গড়া প্রাসাদ
সত্যের মৃদু বাতাসেই ভেঙ্গে পড়ত সত্যযুগে।

যুগের পরে যুগ পেরিয়েছে
এসেছে কলিযুগ।
ইটের পরে পড়েছে ইট 
তৈরী হয়েছে এক মহাদুর্গ,
মিথ্যের।

এই কলিযুগে সত্যের সুবাতাস বরং আটকে যায় 
সেই দুর্গের দৃঢ় দেয়ালে।
দেয়ালের এপাশে অন্যায়ই এখন ন্যায়,
চোখে দেখা সত্যও আজ মিথ্যে।
মেকি আর আসলের মাঝে ভেদ করার চেয়ে
তীর দিয়ে দশ ক্রোশ দুরের মৎস্য অক্ষি ভেদ করা সহজ। 

ঈশ্বরের আশীষও হয়ত আটকে গিয়েছে ঐ দুর্গে...